পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সর্বনিম্ন মূল্য (এমইপি) প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। এখন থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আর পেঁয়াজ আমদানিতে টন প্রতি ৭০০ ডলার দিতে হবে না। এর কম দামেও পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে।
খুচরা বাজারে ৭ থেকে ৮ দফা পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর গেল ডিসেম্বরের শেষদিকে পণ্যটি রপ্তানিতে এমইপি বেঁধে দেয় ভারত। সে অনুযায়ী, পেঁয়াজ রপ্তানিতে দাম প্রায় দ্বিগুণ করে দেশটি। ন্যূনতম দর (এমইপি) নির্ধারণ হয় ৮৫০ ডলার। এতে করে এশিয়ার বাজারে পেঁয়াজের যোগানে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
গেলো ১৯ জানুয়ারি ভারত ন্যূনতম মূল্য কমিয়ে ৭০০ ডলার করে। গতকাল দেশটি এই বাধা একেবারে তুলে দিয়েছে।
অর্থাৎ এখন থেকে আর এই ন্যূনতম হার মেনে চলতে হবে না দেশটির রপ্তানিকারকদের। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও কম দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে এই ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) তুলে নেয়া হয়েছে। যা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে।
পিএনএস/আনোয়ার
পেঁয়াজে বাংলাদেশকে ছাড় দিলো ভারত
04-02-2018 08:22AM