৫০ বিদেশি শিক্ষার্থীর সুযোগ থাকছে ইবিতে

  28-11-2016 01:09AM



পিএনএস ডেস্ক : আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে কিছু বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বিভিন্ন কারণে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ২০০২ সালে আবারো সিন্ডিকেটে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন গৃহীত হয়। কিন্তু বিগত ১৪ বছরেও তার কোন বাস্তব রূপ দিতে পারেনি প্রশাসন।

তবে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ২৫টি বিভাগের ২জন করে ১০টি দেশ থেকে মোট ৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।

রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভাপতি ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে ভিসির কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহাসহ সকল অনুষদীয় ডিন ও সভাপতিবৃন্দ।

বৈঠকে ২০০২ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৬৭তম সভার সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ অনুযায়ী একই সালের ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৬৭তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যাপারে গৃহীত হওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বাংলাদেশি এইচএসসি/সমমান উত্তীর্ণ এবং যাদের রেজাল্ট ১০ পয়েন্টের মধ্যে জিপিএ ৫ থাকবে তারা ভর্তির সুযোগ পাবে। অথবা লেটার গ্রেডে ন্যূনতম ‘বি’ থাকতে হবে অথবা গ্রেড পয়েন্ট ৪ এর মধ্যে ৩ পয়েন্ট থাকতে হবে। অথবা ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ও’ লেভেল সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড অথবা প্রতিযোগিতা পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে ৫০% নম্বর প্রাপ্তরা ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

ভর্তির আবেদনের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের সকল পরীক্ষার মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত কপি, ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, সর্বশেষ উত্তীর্ণ পরীক্ষার পঠিত সিলেবাস, ভর্তির আবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর ২৫ মার্কিন ডলার সমমূল্য টাকা জমা দিতে হবে। আবেদনের পর সকল কাগজপত্র বাছাই করে রেজিস্ট্রার যাদের মনোনয়ন করবেন তারা ভর্তি হতে পারবে। এছাড়াও ভর্তির সময় তার সকল কাগজপত্রের মূল কপি দেখাতে হবে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি বাবদ ১০০, রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১০০, টিউশন ফি বাবদ বার্ষিক ১২০০, পরীক্ষা ফি বাবদ ৪০০ ও প্রত্যেক কোর্সের পুনঃপরীক্ষার পরীক্ষা ফি বাবদ ২৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের টাকা দিতে হবে। তবে সার্কভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ৫০% ফি দিয়ে ভর্তি হতে পারবে।

আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নেপাল, ভূটান, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। ইতোমধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রেজাউল হককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রশাসন।

তিনি আরো জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের দেশের দূতাবাসদের মাধ্যমে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.iu.ac.bd) থেকে ভর্তির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন তথ্যাদি জানতে পারবে।

ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। আমরা তার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকায়নে নতুন মাত্রিকতা যুক্ত হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হল রয়েছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন