আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরছেন শনিবার

  22-11-2017 11:23AM


পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি তুলে নিয়ে আগামী শনিবার থেকে ক্লাসে ফেরার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ক্লাসে ফিরছেন, তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।

প্রথমে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে হামলাকারীদের বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এসব দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেন। এরপর ২ নভেম্বর ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ছিল। দাবি পূরণে শিক্ষার্থীরা ওই দিন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় ছুটি শেষেও তারা ক্লাসে ফিরছিলেন না।

মঙ্গলবারও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তবে সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন, যন্ত্রকৌশল বিভাগের পার্থ প্রতীম দাস বলেন, ‘শিক্ষকেরা সব দাবি মেনে নেওয়ার যে আশ্বাস দিয়েছেন, তার প্রতি সম্মান রেখে শনিবার থেকে আমরা ক্লাসে যাচ্ছি। তবে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করিনি। প্রশাসন যত দিন দাবি পূরণ না করবে, আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।’

বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, প্রশাসন সব দাবি মেনে নিয়েছে। বুধবার (আজ) বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে পরের সপ্তাহ থেকে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হন। তবে কেউ ক্লাসে যাননি। আগের দিন রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েও তারা যাননি।

বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান মঙ্গলবার একটি অফিস আদেশ জারি করেন। এতে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী বাজার মোড় ও বকশীবাজার মোড়ে দুটি তোরণ নির্মাণের জন্য নির্মাণকাজের নকশা প্রণয়ন, স্ট্রাকচারাল ও আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং সম্পাদন এবং যাবতীয় কাজের তদারক করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।

কমিটিতে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এম শফিউল বারীকে সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূরুল মোমেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাপক কাজী আজিজুল মাওলা ও অধ্যাপক কাউছার আলমকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।

একাধিক আন্দোলনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আট দফা দাবিতে শুরু হওয়া ক্লাস বর্জন কর্মসূচির মধ্যে ছয়টি আগেই পূরণ করা হয়েছে। মূল দাবি ছিল প্রবেশপথগুলোতে ফটক নির্মাণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করে তা প্রকাশ করা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ কাজগুলো সময়সাপেক্ষ বলা হয়েছিল। ফটক নির্মাণের দাবি মেনে নিয়ে অফিস আদেশ জারি করায় তারা আশ্বস্ত হয়ে ক্লাসে ফিরছেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন