পিএনএস ডেস্ক:জনপ্রিয় জুটি ও দম্পতি গায়ক ও অভিনেতা তাহসান এবং গায়িকা ও অভিনেত্রী মিথিলার দাম্পত্য জীবনের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে এই জুটি একটি যৌথ বিবৃতি দেন বৃহস্পতিবার। তাদের রয়েছে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান, নাম- আইরা তেহরীম খান। প্রশ্ন হচ্ছে আইনানুগভাবে কে পাবে মেয়ের অধিকার? কার কাছে থাকবে আইরা? আইরা কি পারবে এই এই ডিভোর্সের বিপক্ষে দাঁড়াতে? কে দেবে ভরণপোষণ? এ সকল প্রশ্ন নিয়ে কথা বলেছেন আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ম্যানেজিং পার্টনার, দ্য লিগ্যাল স্পেইস, পারিবারিক আইন বিষয়ক একাধিক গ্রন্থ প্রণেতা তানজিম আল ইসলাম।
তিনি জানান, যেহেতু তাহসান ও মিথিলার সন্তান হচ্ছে একটি কন্যা সন্তান, সেহেতু আইনানুগভাবে যতদিন না আইরা ঋতুস্রাব হওয়ার বয়সে পৌছাবে ততদিন পর্যন্ত আইরা মায়ের হেফাজতেই থাকবে, অবশ্য এর পরও মায়ের কাছে থাকা যাবে। কোন কারনে বিষয়টি যদি আদালতে গড়ায় তাহলে মেয়ে যদি বাবা বা মায়ের কাছে থাকতে চায়, তাহলে আদালত মেয়েরও মতামত নিতে পারে যদি মেয়ের মতামত দেয়ার মত সক্ষমতা থাকে। যদিও মেয়ের মতামত প্রদানের জন্য ১৮ বছর পূর্ণ হতে হয়, তবুও আদালত অনেক সময় ১৮ বছরের নিচের মেয়েরও মতামতের মূল্যায়ন করে এবং কার কাছে থাকলে মেয়ের ভালো হবে- সেই বিবেচনা করেই আদালত রায় প্রদান করবে। তবে মেয়ের অভিভাবকত্ব তথা ভরণপোষণের দায়িত্ব থাকবে বাবা তথা তাহসানের উপরেই। যতদিন না মেয়ে কর্মক্ষম কিংবা বিয়ে হয়ে যাবে, ততদিন এই ভরণপোষণ চালিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও তাহসান মিথিলা মিউচুয়ালভাবে এই বিষয়ের সমাধান করে নিতে পারেন নিজেরাই। তবে মেয়ে যার কাছেই থাকুক না কেন, বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে হবে ওকে, এক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করা যাবে না। ডিভোর্সের পর মিথিলা যদি অন্য কারো সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাহলে সন্তানকে নিজ হেফাজতে রাখার অধিকার হারানোর আশঙ্কা থাকবে তার। অন্যদিকে তাহসান যদি অন্য কাউকে বিয়ে করেন, তবুও তিনি কন্যার উপর তার অধিকার হারাবেন না।
কোন আইন থেকে এই বক্তব্য দিলেন তানজিম আল ইসলাম? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন ১৮৯০ যা সাধারণত গার্ডিয়ানশীপ অ্যাক্ট নামে পরিচিত। এছাড়াও পারিবারিক আদালতের ক্ষেত্রে ১৯৮৫ সালের পরিবারিক আদালত অধ্যাদেশ থেকে উপরোক্ত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
পিএনএস/আলআমীন
তাহসান-মিথিলার সন্তানের কি হবে?
21-07-2017 03:02PM