‘পুশিক্যাট ডলস যৌন ব্যবসার চক্র’

  16-10-2017 04:44PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রযোজক হারভে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি যখন হলিউডে বিস্ফোরণ ঘটেছে, ঠিক সে সময়ই আরেকটি বোমা ফাটিয়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘পুশিক্যাট ডলস’-এর সাবেক সদস্য কায়া জোনস (৩৩)।

পুলিশক্যাট ডলসের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যৌনতার অভিযোগ এনেছেন তিনি। বলেছেন, পুশিক্যাট ডলস গ্রুপটি পরিচালিত হয় পতিতাবৃত্তি চক্রের মতো। বিনোদন জগতের নির্বাহীদের সঙ্গে এর সদস্যদের শারীরিক সম্পর্ক গড়তে বাধ্য করা হয়। শনিবার ও রোববার ধারাবাহিক টুইটে বিস্ফোরক এসব মন্তব্য করেছেন কায়া। তিনি পুশিক্যাট ডলসে যোগ দিয়েছিলেন ২০০৩ সালে।

দু’বছর পরে দল থেকে বেরিয়ে যান। তার অভিযোগ টিনেজ বয়সে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ওই গ্রুপে। কিন্তু ম্যানেজার ও নির্বাহীরা এসব মেয়ের কাছ থেকে সুবিধা নেয়। ওই গ্রুপে থাকার সময়ের কথা লিখেছেন তিনি টুইটে। লিখেছেন, সত্যি বলছি। আমি আসলে মেয়েদের একটি গ্রুপে ছিলাম না। আমি ছিলাম পতিতাবৃত্তির চক্রে (অর্থাৎ তিনি পুশিক্যাট ডলসকে পতিতাবৃত্তির চক্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন)।

আমরা গান গেয়েছি এবং বিখ্যাত হয়েছি। আমাদের যারা মালিক ছিলেন তাদের প্রতিজন কামিয়ে নিয়েছেন ডলার। আরেক টুইটে তিনি লিখেছেন, মাঝে মাঝে মানুষজন জানতে চায় আমি ওই গ্রুপ ছেড়ে এসেছি। এটা কতটাই না খারাপ! খারাপ তো বটেই। আমি আমার স্বপ্ন, ব্যান্ডসঙ্গী ও এক কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেকর্ড চুক্তি ফেলে বেরিয়ে এসেছি।

আমি জানতাম আমরাই এক নম্বর হতে চলেছি। তার এ অভিযোগকে উদ্ভট ও মিথ্যায় ভরা বলে অভিহিত করেছেন পুলিশক্যাট ডলসের প্রতিষ্ঠাতা রবিন অ্যান্টিন। তিনি দ্য ব্লাস্ট’কে বলেছেন, কায়া জোনস স্পষ্টতই তার জন্য ১৫ মিনিট সময় খুঁজছেন। তিনি বলেন, কায়া জোনস কখনোই পুশিক্যাট ডলস গ্রুপের প্রকৃত সদস্য ছিলেন না। এ অবস্থায় কায়ার করা এমন অভিযোগে এই নিকোলে শারজিঙ্গার সহ সাবেক সদস্যরা ক্ষিপ্ত হতে পারেন।

তিনি যে সময়ের অভিযোগ করছেন তা কমপক্ষে এক যুগের পুরনো এবং সুনির্দিষ্টভাবে যৌন অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন নি। রোববার তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তিনি এতদিন পরে এ অভিযোগ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাস ভেগাসে কনসার্টে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরে। ওই হত্যাযজ্ঞ তাকে ভীষণভাবে আহত করেছে। উল্লেখ্য, সব সময়ের মধ্যে বেস্ট সেলিং মেয়েদের গ্রুপের মধ্যে এক নম্বরে অবস্থানকারী অন্যতম দল পুলিক্যাট ডলস।

২০১০ সালে এ গ্রুপটি ভেঙে যাওয়ার আগে রেকর্ড ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের অডিও, ভিডিও বিক্রি হয় তাদের। সেই গ্রুপের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে কায়া জোনস বলেছেন, গ্রুপের মেয়েদেরকে নির্বাহীদের সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হতে বলা হতো। তিনি টুইটে লিখেছেন, নির্বাহী, ম্যানেজার, এজেন্ট ও অন্য সুপরিচিত আর্টিস্টদের সঙ্গে ঘুমাতে হয় মেয়েদের। কোনো নির্বাহীর সঙ্গে শয্যা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বাধ্য করা হতো।

ওই টিমের একজন সদস্য হতে হলে একজনকে টিম প্লেয়ার হতে হয়। এর অর্থ হলো তারা যার সঙ্গে বলবে তার সঙ্গে আপনাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আপনি যদি রাজি না হন তাহলে ছাড় নেই। আপনি যদি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হন তাহলে আপনার ওপর মাদক প্রয়োগ করবে। ভিক্টিমকে আরো ভিক্টিমাইজ করবে।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন