স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে ফেসবুক

  27-07-2017 05:35AM

পিএনএস ডেস্ক : ২০১২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর (ইউজার) সংখ্যা ছিল ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি। ২০১৫ সালের প্রথমদিকের হিসাবে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৪ কোটিতে। এর অর্থ হল, প্রতি মাসে ১৪৪ কোটি ব্যবহারকারী ফেসবুকে সক্রিয় থাকে। এর মধ্যে ১২৫ কোটি হল মোবাইল-ফেসবুক ব্যবহারকারী। এক পুরনো হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকে প্রতিমাসে ২০০ কোটি ছবি ও ১ কোটি ৫০ লাখ ভিডিও আপলোড করা হয়।

ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন ফেসবুকে ৭০০ কোটি মিনিট ব্যয় করে। গুগলে যত সময় ব্যয় করা হয়, মানুষ ফেসবুকে তার চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় করে থাকে।

ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবি, লিংক, ভিডিও, বিভিন্ন স্ট্যাটাস আপলোড, শেয়ার ও কমেন্ট করতে পারে। এ ছাড়াও ফেসবুকে বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে হরেকরকম অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান ও খোশগল্প বা চ্যাট করা যায়।

২০০৪ সালে বন্ধু ডাস্টিন ও ক্রিসের সঙ্গে মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক চালু করেন। সীমিতসংখ্যক বন্ধুবান্ধব ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই মাধ্যমের ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখা ছিল জাকারবার্গের প্রাথমিক ইচ্ছা। কিন্তু উদ্বোধনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০০ ছাত্রছাত্রী ফেসবুকে ‘সাইন আপ’ করে ফেলল। এর পরের ঘটনা শুধু ইতিহাস।

সারা বিশ্বে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ল ফেসবুক। বর্তমানে এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামাজিক গণসংযোগ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বন্ধুত্ব, যোগাযোগ স্থাপন ও বিনোদনের জন্য যে মাধ্যমটি একসময় চালু করা হয়েছিল, তা আজ বিশ্বের লাখো-কোটি মানুষের জন্য ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সমস্যার এক বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে ইদানীং আমার মনে একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উদয় হয়েছে। অবশ্য এই প্রশ্ন নতুন নয়।

বহুদিন আগে থেকেই মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই প্রশ্ন নিয়ে ভাবছেন এবং উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করছেন। প্রশ্নটি হল, বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে ফেসবুক ব্যবহার কি আসক্তির পর্যায়ে পড়ে? এর উত্তর কারও কারও জন্য ‘না’ হলেও অসংখ্য উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়ের জন্য ফেসবুক ব্যবহার অবশ্যই আসক্তির পর্যায়ে পড়ে বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা ইদানীং মনে করছেন। এ প্রশ্নের জবাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য যুবক-যুবতী ও বয়স্ক মানুষ খোলামেলা জবাব দিয়েছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন