‘১১ বছর পর জানতে পারলাম আমায় বন্ধ্যা করে দিয়েছে'

  29-02-2020 02:07AM

পিএনএস ডেস্ক: সতের বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ার পর তার অজান্তেই জরায়ু কেটে ফেলে দিয়ে বন্ধ্যা করে দেয়া হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারীর।

মিস এমসিবি নামের ভুক্তভোগী ওই মহিলা বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন এগার বছর পর। যখন তিনি দ্বিতীয় সন্তান নেবার চেষ্টা করছিলেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একটি হাসপাতালে এই নারীসহ ৪৮ জনকে বন্ধ্যা করা হয়েছিলো তাদের কাছ থেকে সম্মতি না নিয়েই।

দেশটির কমিশন ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি জানিয়েছে, রোগীদের ফাইল গায়েব হওয়ার কারণে তাদের তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারাও তদন্তকারীদের সহায়তা করেনি।

তারা জানিয়েছে, তদন্ত কর্মীরা পনেরটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে এবং এর মধ্যে কিছু ২০০১ সালের ঘটনাও আছে।

মিস এমসিবি তার দুর্ভাগ্যের বর্ণনা দিয়েছেন সংবাদমাধ্যম বিবিসির ক্লেয়ার স্পেনসারের কাছে।

ওই রিপোর্টের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি। তবে মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য কমিশনকে তার সঙ্গে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।

মিস এমসিবি বলেন ‘আমি সন্তান জন্ম দেয়ার পর যখন জেগে উঠলাম, তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কেনো আমার তলপেটে এতো ব্যান্ডেজ?’

আমি কিছু মনে করিনি। মাত্রই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলাম। বেশ বড়সড় ছিল বাচ্চাটা এবং আমাকে অবশ করা হয়েছিলো সিজারের জন্য।

সন্তান হওয়ার পাঁচদিন পর হাসপাতাল ছেড়েছিলাম স্বাস্থ্যবান সন্তান, আর তলপেট নিয়ে কিছুটা ভয় নিয়েই।
তবে পরের এগার বছরে আমি এর কিছুই জানতে পারেনি।

বিষয়টি অজানাই ছিল।

আমি আবার সন্তান নেবার চেষ্টা করছিলাম। এর আগে আমি জন্মনিরোধক পিল খেতাম।

পরে যখন সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন গেলাম ডাক্তারের কাছে।

তিনি পরীক্ষা করে আমার কাছে বসলেন, আমাকে পানি খেতে দিলেন। এরপর বললেন, ‘তোমার কোনো জরায়ু নেই।’

এটা ছিল আমার কাছে এক চরম নিষ্ঠুরতা।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন