রাজধানীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৮ ডিবি বরখাস্ত

  20-04-2017 10:42PM

পিএনএস : রাজধানীর কাফরুলের একটি ক্লাবে গিয়ে র্যাব পরিচয়ে মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেয়ার’ অভিযোগ ওঠার পর গোয়েন্দা পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারসহ আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে গত মঙ্গলবার রাতে ইব্রাহিমপুরের ‘নিউ ওয়েভ’ ক্লাবে ঠিক কী ঘটেছিল, তা স্পষ্ট হয়নি পুলিশ কর্মকর্তাদের কথায়। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

এ কমিটির সদস্য মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ জানান, তাদের তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জামিল আহমেদ ও পুলিশ সদর দপ্তরের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

অভিযোগ উঠেছে, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে সাধারণ পোশাকে ‘নিউ ওয়েভ’ ক্লাবে যায়। ১১ জনের ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার দলের সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন। ওই ক্লাবে জুয়া খেলা হচ্ছে অভিযোগ তুলে তারা ক্লাবে থাকা লোকজনের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা নিয়ে নেন। এ সময় পরিচয় জানতে চাইলে তাদের কেউ র্যাব, কেউ সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর সেখান থেকে এক সেনা কর্মকর্তার স্বামীসহ চারজনকে আটক করে ক্লাব থেকে বেরিয়ে যান গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। কাফরুল এলাকায় সেনানিবাসে প্রবেশের চেকপোস্টে মিলিটারি পুলিশ গাড়ি থামালে আটকরা মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন। পরে খবর পেয়ে সেখানে কাফরুল থানা পুলিশ আসে এবং তারা অভিযানে অংশ নেয়া ওই ১১ ডিবি সদস্যকে থানায় নিয়ে যান।

ওই ক্লাবে আসলে কি ঘটেছিল জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাফরুলে ডিবির একটি টিম অপারেশনে ছিল। সেখানে একটি ক্লাব থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যাদের আটক করা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন মেজরের হাজবেন্ড ছিলেন। ফেরার পথে মিলিটারি পুলিশ তাদের আটকায় ও পরে থানা পুলিশ যায়।’

ক্লাব থেকে আটকদের ‘জোর করে ধরে আনা হয়েছিল’ জানিয়ে বাতেন বলেন, ‘তারা কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না। যাদের ধরা হয়েছিল তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

র্যাব পরিচয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ডিবির লোক তো অন্য কোনো বাহিনীর পরিচয় দেয়ার দরকার নেই। তাদের তো নিজেদেরই পরিচয় আছে। এটা কেন বলা হচ্ছে তা জানি না।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ‘নিউ ওয়েভ’ ক্লাবে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কোনো কথা বলা ঠিক হবে না। আমি তো এখন অভিযুক্তের কাতারে। ঘটনাটি সিনিয়র স্যাররা তদন্ত করে দেখছেন।’

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন