হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণের সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

  23-04-2017 10:01PM

পিএনএস ডেস্ক : হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেখে রিং কিনতে পেরে প্রতারণা থেকে রেহাই পাচ্ছেন তারা। কোন হাসপাতাল বা আমদানিকারক নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

হার্টের চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান করোনারী স্ট্যান্ট বা হার্টের রিং। এতদিন এই রিংয়ের নির্ধারিত কোন মূল্য না থাকায় হাসপাতাল ভেদে ছিল দামের তারতম্য, রোগীদের জিম্মি করে আদায় করা হতো অতিরিক্ত অর্থ।

হার্টের রিং বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরতে মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মূল্য নির্ধারণে গঠন করা হয় কমিটি। দফায় দফায় বৈঠকের পর ১৫টি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের ৩৭ ধরণের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ করে মূল্য তালিকা হাসপাতালে টানিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পেয়ে সন্তুষ্ট রোগীরা। এতে সরকারি বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালে মূল্য তালিকা দেখে রিং কেনার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

রোববার সকালে মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভায় সব পক্ষ রিং বাণিজ্য রোধে একমত হন।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, 'এমনও হয়েছে যে এটা লাগানোর দরকার নাই কিন্তু লাগানো হয়েছে। আমরাও এটার বিরুদ্ধে।'

স্কয়ার হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুলতান মিনহাজ উদ্দীন বলেন, 'একেক জন একেক মূল্যে ক্রয় করেছে এবং একেক মূল্যে বিক্রয় করেছে। এখন এমআরপি হওয়ার পরে এর আর কোন সুযোগ নাই। গতকালই স্কয়ার হসপিটালে তালিকাটা টানিয়ে এরিমধ্যে এর প্রয়োগটা হয়ে গেছে।'

নির্ধারিত মূল্যের বেশি অর্থ আদায় করা হলে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দেয় ওষুধ প্রশাসন।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'কেউ যদি নতুন করে মূল্য এদিকে ওদিক করে তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এক্ষেত্রে কি শাস্তি হবে তারও উল্লেখ আছে।'

দেশে বছরে হার্টের রিংয়ের চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার যা সম্পূর্ণই আমদানি নির্ভর। হাসপাতাল ভেদে আগে যে রিং এর দাম রাখা হতো ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। নতুন সিদ্ধান্তে এই রিংয়ের জন্য গুণতে হচ্ছে অর্ধেক দাম।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন