দেশে বায়ু দূষণে বছরে পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়!

  22-06-2019 08:53PM

পিএনএস ডেস্ক : বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) তথ্য অনুযায়ী বায়ু দূষণের কারণে দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া যে ১০টি রোগের কারণে বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে পাঁচটিই বায়ু দূষণ জনিত রোগ।

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলের তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু বায়ু দূষণ জনিত কারণে। প্রতি বছর এশিয়ায় মৃত্যু হয় প্রায় ২৬ লাখ মানুষের। বিশ্বে ৮ জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যুর কারণও এটি। আর শুধু বাংলাদেশেই প্রতিবছর মারা যায় প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও যে ১০ টি রোগের কারণে বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে পাঁচটিই বায়ু দূষণ জনিত রোগ।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বায়ু দূষিত দেশ বাংলাদেশ, আর দিল্লির পর দূষিত শহর ঢাকা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শহুরে জনগণ এবং শিশু, দারিদ্র্য এবং বয়স্ক নাগরিকেরা।

বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, চীনের একটি নীতি ছিল যে, আগে উন্নয়ন করি পরে দূষণ সামলাবো। সরকার এমন কোনো নীতিই বাংলাদেশের জন্য নিচ্ছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা পরিবেশকে দূষিত করে ফেলছি। তবে চীন সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আমরা পারবো না। তাই এমন নীতি হবে আমাদের জন্য আত্মঘাতী।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞরা গ্রাফ দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, রামপালের ফলে যে বায়ু দূষিত হবে সেটি ঢাকা, নরসিংদীসহ কলকাতাও পৌঁছাবে। আমরা সরকারকে দেখিয়েছি যে, আমাদের দেশে কয়লা ও পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দরকার নেই। তবুও সরকার তা শুনছে না।

সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহম্মদ বলেন, পরিবেশ ও বায়ু দূষণের বিভিন্ন সোর্স আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোকে আইনের আওতায় এনেছি। আগে বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় সোর্স ছিল ইট ভাটা। এখন সেটি নেই। এখন হচ্ছে যানবাহন ও কারখানা।

তিনি বলেন, প্রায় ৭১ শতাংশ ইট ভাটাকে আমরা পরিবেশবান্ধব করেছি অথবা কম দূষণের তালিকায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। দেশের ৩৩টি জেলায় এখন পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় আছে, প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত আছে। তবে এটা ঠিক যে, আমাদের আরও কাজ করার আছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন