উইকেট শিকারি স্পিনার খুঁজে বের করবেন মুশতাক

  24-04-2024 07:01PM

পিএনএস ডেস্ক: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে কাজ করে উইকেট শিকারি স্পিনারদের খুঁজে বের করে আনতে চান বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ সাবেক এই পাকিস্তানি লেগ স্পিনার।

আপাতত চুক্তি স্রেফ মাস দুয়েকের জন্য। এই সময়টায় মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও বিশ্বকাপ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে মুশতাক আহমেদকে। তবে বাংলাদেশের স্পিন কোচের দায়িত্বে আরও বড় পরিসরে ছাপ রাখতে চান তিনি। স্থানীয় কোচদের সঙ্গে কাজ করে লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার বের করে আনায় ভূমিকা রাখতে চান পাকিস্তানের এই লেগ স্পিন গ্রেট।

বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচের দায়িত্ব নিতে সোমবার ঢাকায় আসেন মুশতাক। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এসে কোচিং স্টাফ ও বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরিচিতিপর্ব দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তার নতুন পথচলা। বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

বাংলাদেশের স্পিন কোচ হিসেবে চুক্তি করার পরই নিজের রোমাঞ্চের কথা বলেছিলেন ৫৩ বছর বয়সী সাবেক স্পিনার। মিরপুর স্টেডিয়ামে পা রেখে আবার শোনালেন সেই অনুভূতির কথা।

“বাংলাদেশের ক্রিকেট সিস্টেমের অংশ হতে পারা আমার জন্য বড় সম্মানের। আমি মুখিয়ে আছি।”

খেলোয়াড়ি জীবনে কয়েকবার এসেছেন তিনি বাংলাদেশে। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তান দলের হয়ে বাংলাদেশে এসে দুটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে শিকার করেন তিন উইকেট, পরের ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। ইনজামাম-উল-হক, সাঈদ আনোয়ার, সেলিম মালিক, বাসিত আলি, ওয়াকার ইউনিস, আমির সোহাইল, রাশিদ লাতিফদের দলের সঙ্গে সেই ম্যাচগুলি অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে গণ্য হয়নি।

এবারের আগে তিনি বাংলাদেশে সবশেষ এসেছিলেন ১৯৯৮ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে খেলতে। এত বছর পর এসে স্মৃতির সাগরে একটু ডুব দিলেন ৫২ টেস্ট ও ১৪৪ ওয়ানডে খেলা স্পিনার।

“১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৯৩-৯৪ সালে (বাংলাদেশ সফরের) দলে ছিলাম। বাংলাদেশ সফরে আসা সবসময়ই দারুণ। কারণ এখানকার স্থানীয়রা পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও পাকিস্তানি মানুষের বড় ভক্ত। আমরাও এখানে আসতে ও ক্রিকেট খেলতে সবসময় উপভোগ করেছি। এখানকার আতিথেয়তা অসাধারণ। খাবার ও সবকিছুই দারুণ পছন্দ করেছিলাম আমরা।”

খেলা ছাড়ার পর কোচ হিসেবে আলাদা করে নিজের পরিচিতি গড়তে পেরেছেন মুশতাক। ইংল্যান্ড দলে দীর্ঘ ছয় বছর স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করা ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান দলে কাজ করেছেন, বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। বাংলাদেশেও তিনি কোচ হিসেবে নিজের ছাপ রাখতে চান।

“প্রথমত, আমি বিশ্বাস করি যে, কোচ হিসেবে আমাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি এখানে এসেছি পার্থক্য গড়তে। ইনশাল্লাহ পার্থক্য গড়ব স্পিন বিভাগে। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে এত বছরের, তা ভাগাভাগি করতে পারব তরুণ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে। আশা করি, আমরা পার্থক্য গড়তে পারব।”

“আমি বিশ্বাস করি, যাদেরকে কোচিং করানো সম্ভব, তাদেরকেই কেবল কোচিং করানো যায়। এখানকার তরুণরা দারুণ প্রতিভাবান। আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি, দলটা দারুণ প্রতিভাবান ও সব দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।”

তার মূল কাজের জায়গা জাতীয় দল হলেও বাংলাদেশে ক্রিকেটে তিনি অবদান রাখতে চান অন্যভাবেও।

“এশিয়ায় ক্লাব ক্রিকেটে, নেট অনুশীলনে সবসময়ই লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার, চায়নাম্যান বোলার দেখতে পাওয়া যায়। আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা সেখানে কাজে লাগবে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারব অনেক।”

“ক্লাব ক্রিকেট ও প্রথম শ্রেণির কোচদের সঙ্গে দেখা করতে পারি এবং চেষ্টা করতে পারি ভালো লেগ স্পিনার বা চায়নাম্যান বোলার বের করে আনতে। কারণ এখন সাদা বলের ক্রিকেটে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট শিকারি স্পিনার লাগেই। রহস্য স্পিনারদের বের করে আনা গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা করি, আমরা পারব।”

এসএস।

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন