ফেসবুকে যৌনচর্চা ছেলের, নেপথ্যে বাবা

পিএনএস ডেস্ক: জেনেট মরিসন একদিন তার ১৩ বছরের ছেলে বেরির ফেসবুক নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছিলেন। এটা ওটা দেখতে দেখতে চ্যাটবক্সে চোখে পড়ে একটি সুন্দরী মেয়ের নাম। কৌতূহলবশত সেই মেয়ের সঙ্গে ছেলে কী কথা বলেছে দেখতে চ্যাট উইন্ডোটি খোলেন। খুলে তার চক্ষু চড়কগাছ। ১৯ বছরের সেই মেয়ে কি না তার ছেলেকে নগ্ন ছবি পাঠাতে বলেছে।

অবশ্য জেনেট তখনও জানতেন না যে ছেলে ইতিমধ্যেই সেই কাজটি সেরে ফেলেছে। সদ্য তার বাবা একটি ওয়েবক্যাম কিনে এনে দিয়েছিল। তা দিয়ে ছবি তুলে মেয়েটিকে পাঠিয়েছে বেরি।

১৩ বছরের ছেলের এমন কাণ্ড দেখে জেনেট রীতিমত ভয় পেয়ে যান। তার ধারণা হয় অনলাইনে সে এইসব শিখছে। তাই খোঁজ শুরু করেন কে তাকে এই শিক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু খোঁজ করে যা পেলেন তা আরো ভয়ানক। বাইরের কেউ নয়, বেরির বাবাই তাকে এসব শেখাচ্ছে।

জেনেট বলেন, “বাবা-মা সবসময় চায় অনলাইনে ছেলেমেয়ে যেন নিরাপদ থাকে। কিন্তু, এ কেমন বাবা যে নিজেই কি না ছেলেকে অনলাইনে যৌনচর্চা করার শিক্ষা দিচ্ছে।” তবে স্বামী বলে তাকে ছাড় দেননি জেনেট। অভিযোগ জানান থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে এখন বেরির বাবা ইয়ান জেলে রয়েছেন।

প্রথম থেকে স্বামী ইয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না জেনেটের। বেরির জন্মের পর সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে। কিন্তু সেটা ছিল সাময়িক। ধীরে ধীরে তা আবার খারাপ হতে শুরু করে। তাই বাধ্য হয়ে ইয়ানের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে ফেলেন জেনেট। তখন বেরির বয়স পাঁচ। এর বেশ কয়েক বছর পর জেনেট স্টুয়ার্ট নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এবং তাঁর নতুন সংসার সুখের ছিল।

কিন্তু, সেখানে ফের হানা দেয় প্রথম স্বামী ইয়ান। তখন বেরির বয়স ১২। প্রথমে ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে আলাপ করে, তারপর লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে থাকে। ছেলের সঙ্গে আলাপ জমাতে ছেলেকে সেক্সুয়ালি গ্রুম করতে থাকে। সদ্য টিনএজে পা দেয়া ছেলে তাতে আকর্ষিত হয়। বাবার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিয়মিত ফেসবুকে যৌনচর্চা শুরু করে বেরি। বাবা-ছেলের এমন সম্পর্কের কথা জেনে হতবাক মা জেনেট।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল