পিএনএস, রংপুর: প্রেম করে বিয়ে করার অপরাধে মো. শাহীন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে শিঁকলে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে মাথা ন্যাড়া ও জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানোর পর পুলিশে দেওয়া হয়।
২৭ এপ্রিল বুধবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক কানুর (৪০) নেতৃত্বে ঘটনাটি ঘটে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান ও রিপন মিয়া জানান, আব্দুল হাদির ছেলে শাহীন মিয়া এর আগে পাশের দিগদুয়ারী গ্রামের নাসরিন বেগম ও কেশবপুর গ্রামের কামরুন্নাহারকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহে উভয়ের সম্মতিতে ছাড়াছাড়িও হয়। পরে গত মঙ্গলবার রাতে একই ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী গোলাপী বেগমকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক কানু ও তার লোকজন শাহীনকে জোর করে ধরে এনে ইউপি সদস্যের বাড়ির একটি গাছের সাথে বেঁধে সারারাত নির্যাতন করে। পরে বুধবার সকালে হাত-পা শিকলে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে সারা গ্রাম ঘুরানো হয়। এরপর মাথা ন্যাড়া করে পুলিশে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর শাহীনের স্ত্রী গোলাপী বেগম পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের বলেন, `পীরগঞ্জ থানার এসআই মোজাহার হোসেন আমার স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা দাবি করেছে। আমি এতোগুলো টাকা কোথায় পাবো? তবুও ৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি। তারপরেও আমার স্বামীকে ছেড়ে দিচ্ছে না।`
শাহীনের মা জাহানারা বেগম বলেন, `পুলিশ টাকা ছাড়া আমার ছেলেকে ছেড়ে দিচ্ছে না।`
পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, বারবার বিয়ে করার কারণে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনকে থানায় দিয়েছে। তার অভিভাবকরা এলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
পিএনএস/আলআমীন
প্রেম করে বিয়ে করায় মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা
27-04-2017 10:16AM