নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু

  28-06-2017 10:41AM

পিএনএস, লালমনিরহাট: চোরাকারবারিদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার খোঁজে দ্বিতীয় দিনের মতো যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এর আগে, সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে একদল গরু পাচারকারীকে ধরতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নম্বর পিলার এলাকায় নিখোঁজ হন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।

নিখোঁজ সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি ৬১ বিজিবিতে কর্মরত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত রয়েছেন। তার বডি নম্বর ৭৬২৪১। তার সন্ধানে ওই রাতেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা চাওয়া হলে তারা একটি স্পিডবোটের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চালান। মঙ্গলবার সকালে বিএসএফ আরও ২টি এবং বিজিবির ৩টি স্পিডবোটের মোট ৬টি দল এবং ফায়ার সার্ভিসের পাটগ্রাম ও রংপুর দুই ইউনিটের আট সদস্যের ডুবুরিদল দিনভর তিস্তা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। সন্ধ্যার পর অভিযান অসমাপ্ত রেখে স্থগিত করা হয়। বুধবার সকালে পুনরায় শুরু করা হয়েছে।

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া গত ১৫ দিন আগে কক্সবাজার থেকে পদোন্নতি নিয়ে দহগ্রামে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে যোগদান করেন। মঙ্গলবারের উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন বিজিবি রংপুর অঞ্চলের রিজিওনাল কমান্ডার এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাঈফ, বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ, রংপুর ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক মেজর মুহিত।

বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টহলদল সোমবার রাত ২টার দিকে গরু পাচারকারীদের ধরতে তিস্তা নদীর চরে অভিযান চালান। এ সময় আবুলের চর ৬/৩ এস সীমানা পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া। এরপর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন