দুই তরুণীর প্রেম নিয়ে টাঙ্গাইলে তোলপাড়

  24-04-2024 11:33AM



পিএনএস ডেস্ক: টাঙ্গাইলের এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জের এক তরুণীর। সেই থেকে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সেই বন্ধুত্ব রূপ নেয় গভীর এক সম্পর্কের। এবার সেই বান্ধবীকে বিয়ে করতে টাঙ্গাইলে চলে এলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ওই তরুণী।

রোববার রাত ১১টার দিকে গোপালপুরের হাসপাতাল সংলগ্ন নন্দনপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের। ওই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। আর কিশোরীর বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে দীর্ঘ এক বছরের অধিক সময় ধরে তাদের পরিচয়। ফেসবুকেই দীর্ঘ আলাপচারিতা। এরপর একজনের প্রতি অন্য জনের আসক্তি বাড়তে থাকে।

জড়িয়ে পড়েন গভীর সম্পর্কে। সিদ্ধান্ত নেন ঘর ছাড়ার। তিনদিন আগে দু’জনে একসঙ্গে ঘরও ছেড়েছিলেন। ১৮ই এপ্রিল গোপালপুর যান কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী। এমনকি তারা হাসপাতালের পেছনে স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি বাসার এক রুম মাসিক ১৫০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে বসবাসও শুরু করে। এসময় তারা নিজেদের গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে বাসার আশপাশের নারীরা তাদের জীবনযাপন ও চলাফেরা দেখে সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

টাঙ্গাইলের তরুণী বলেন, আমরা দু’জন দু’জনকে ভালোবাসি। আমরা বিয়ে করতে চাই। সমাজ আমাদের যেভাবেই দেখুক না কেন, আমরা ভালোবাসি। তাই বাড়ি থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন আমাদের পরিবার এসব মানবে না। তাই আমরা দু’জন পালিয়ে এসে এখানে বসবাস করছি। কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী বলে, আমি তার ?কাছে ছুটে এসেছি। কারণ আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না।

এদিকে, টাঙ্গাইলের তরণীর বাবা বলেন, আমি তিনদিন ধরে আমার মেয়েকে খুঁজে পাই নাই। খুঁজে না পেয়ে গোপালপুর থানায় জিডি করতে এসেছিলাম। তারপর খোঁজ পেলাম থানায় আমার মেয়েকে অন্য মেয়ের সঙ্গে নিয়ে এসেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমন ঘটনা তারা কখনো শুনেননি বা দেখেননি। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। জানাজানি হলে পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে গোপালপুর থানা পুলিশ দুই মেয়েকে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। পরবর্তীতে তাদের টাঙ্গাইল জেলা জজ কোর্টে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দারা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর ওই মেয়েটি তিনদিন আগে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। তাদের দাবি-তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবে না। তারা গার্মেন্টসে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী মনে করছেন। গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, এ রকম ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনো আমি শুনিনি। আর আজ আমি নিজে দেখতে পেলাম। গোপালপুর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় দু’জনকেই টাঙ্গাইল জেলা বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন