চিরিরবন্দরে সাতনালা গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হচ্ছে ২৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো

  18-07-2017 02:13PM

পিএনএস, দিনাজপুর : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা গ্রামের তারকশাহার হাট এলাকার ইছমতি নদীর উপরে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো। ইউপি সদস্য মো: আইজার রহমানের তত্ত্বাবধানে তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতি নদীর উপরেনির্মিত হচ্ছে এ বাঁশের সাঁকো।

এপারে আলোকডিহি ওপারে সাতনালা। দুই ইউনিয়নের মাঝে ইছামতি নদী। দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে এ নদীই বাধা। এ বাধা দূর করতে গ্রামবাসী নিজেরাই টাকা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করছেন এ বাঁশের সাঁকো। এটি নির্মাণের ফলেদুই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ গ্রামের আনুমানিক ১০ হাজার লোক এই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করবেন। এদিকে এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ না হলে ওই পাচঁ গ্রামের মানুষকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে ঘাটেরপাড় কলেজমোড় সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়। অথচ এই দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল পাঁচ মিনিটের পথ বাশেঁর সাঁকো পার হলেই তারকশাহার হাটসহ আলোকডিহি ইউনিয়ন থেকে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদে সহজেই যাতায়াত করা যায়। সাতনালা ইউপি পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ সাঁকো দিয়ে এলাকার বেকিপুল বাজার,কিষ্টহরি বাজার,চাম্পাতলী বাজার,বিন্যাকুড়ির হাট,তারকশাহার হাট,মডেল স্কুল,ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, ইছামতি ফাযিল মাদ্রাসা,রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারসহ পাঁচ গ্রামের প্রায়দুই হাজার পরিবারের লোকসংখ্যা আনুমানিক ১০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকে লেনদেন, বাজারঘাটসহ প্রতিটি কাজের জন্য তাঁদের চলাচলের সুবিধার্থে ইছামতি নদীর এবাঁশের সাঁকো দিয়েই পার হতে হয়।

স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণকারী আইনউদ্দিন,হাবিবুর,জাহাঙ্গীর,নিমাই চন্দ্র জানান, নিজেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আর্থিক সহযোগিতায় আমরা ২০ দিন ধরে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ মিলে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করতেছি। এর ফলে এলাকার মানুষের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হবে।

ইউপি সদস্য মো: আইজার রহমান জানান, বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ার দ্রীর্ঘ ২০ বছর পরে জনদুর্ভোগ লাঘবে আবার স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে।তবে নির্মানধীন বাঁশের সাঁকোর জন্য আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: আহসানুল হক মুকুল।

সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো ফজলুর রহমান বলেন, জনগণের নিজেদের উদ্যোগেই এই সাঁকোটি নির্মিত হচ্ছে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো অর্থায়ন করা সম্ভব হয়নি। কেননা, এ খাতে কোনো বরাদ্দ নেই।তবে চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে স্বাগত জানিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমএ কাজের প্রেরণা জুগিয়েছেন।



পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন