সাবধান : পকেটমার, ছিনতাইকারী, মলম-অজ্ঞান পার্টি, জাল টাকার চক্র তৎপর

  19-08-2018 02:55PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে সবাই। স্বস্তিতে কেউ নেই। কোরবানির ঈদের এ ব্যস্ততা সর্বত্র চোখে পড়ছে। আর এ ব্যস্ততার সুযোগ কাজে লাগায় অশুভ চক্র। গরুর হাটগুলো জমে গেছে। রাখার মতো জায়গা আছে- ক্রেতাদের এমন একটা অংশ গরু কিনছেন। দাম একটু চড়া। ঈদে গরুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা ও ঘরমুখো মানুষকে সাবধান থাকতে হবে- পকেটমার, ছিনতাইকারী, মলম-অজ্ঞান পার্টি, জাল টাকা চক্র তৎপরতা সম্পর্কে।

শিক্ষিত যুবসমাজ যে ইচ্ছা করলে পারে, বাজারে এবার দেশীয় গরুর ব্যাপক উপস্থিতি তার বড় প্রমাণ। শিক্ষিত বেকার যুবকরা খামার করে গরু মোটাতাজায় আত্মনিয়োগ করায় বাজারে নাদুসনুদুস গরুর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বাঁচা গেছে আমদানি করা থেকেও। তার পরও ভারত-মিয়ানমার থেকে গরু আসা থেমে নেই। অন্য দেশ থেকে গরু আসায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ দেশের খামারিরা।

বেকারত্বের অবসানে গরু মোটাতাজাকরণ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় খামার গড়ে উঠেছে। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করে বেকার যুবসমাজ আজ সাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কোরবানির গরু নিয়ে এখন আর অন্য দেশের দিকে তাকাতে হবে না।

জানা গেছে, দেশে সোয়া কোটি পশু কোরবানি হয়। আর এবার দেশের খামারে ১ কোটি ১৫ লক্ষাধিক গরু মোটাতাজা করে কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে ছাগল-বেড়া তো আছেই। পাশাশাশি গাবতলী গরুর হাটে এসেছে উট ও দুম্বা। রাজধানীর যত্রতত্র ছাগল (খাসি) নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিক্রেতারা। তবে দাম হাঁকছে তুলনামূলক একটু বেশি।

গরুর বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার সজাগ থাকা জরুরি। কারণ পকেটমার সক্রিয়। সক্রিয় জাল টাকার কুশিলবরা। অজ্ঞান পার্টিও কিন্তু বসে নেই। যদিও সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ক্রেতাদের সতর্ক থাকতে হবে পশু সম্পর্কে। মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা ঝরছে, চামড়া ঢিলে হয়ে গেছে, স্বাভাবিক আচরণ করছে না- এমন পশু কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে পশু চিকিৎসকদের অভিমত।

নাড়ীর টানে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ায় ব্যস্ত। যথা সময়ে যানবাহন না পাওয়ায় অনেকে হতাশ। টিকিট কেটে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না পাওয়ায় কষ্ট বাড়ছে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। বাসে যানজটে আটকে পড়ে দুর্ভোগ বাড়ছে। ফেরিঘাটগুলোর দুপাশে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। নদীতে তীব্র স্রোত।

ট্রেনের মতো বাস ছাড়া হচ্ছে না নির্দিষ্ট সময়ে। ফলে আগাম টিকিট কাটা যাত্রীরা চরম ভোগান্তির স্বীকার। অনেক বাস স্টেপেজে বসা। যেখানে বাথরুম নেই, সেখানের যাত্রীদের কষ্ট বাড়ছে। সব মিলিয়ে ট্রেন-বাস-লঞ্চ সর্বত্র ঈদে ঘরমুখী মানুষের স্রোত লক্ষ করা যাচ্ছে। এদিকে তীব্র গরমে গাবতলী গরুর হাটে পাবনার এক ব্যবসায়ীর একটি গরু মারা গেছে। গরুটির দাম ছয় লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানা গেছে।

চলার পথে মনে রাখতে হবে পকেটমার, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, জাল টাকার কারসাজি, অজ্ঞান পার্টি কিন্তু তৎপর। তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মানুষ নিরাপদে এবং আনন্দয় পরিবেশে গন্তব্যে পৌঁছুক। ঈদ আনন্দ উদযাপনের পর আবার ফিরে আসুক একইভাবে। গরুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই নিরাপদ থাকুন। ঈদ সবার জন্য অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক।

লেখক : বার্তা সম্পাদক- পিএনএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন