আগামীতে ইংলিশ গানও করতে পারি : মাহফুজুর রহমান

  10-04-2024 03:57PM



পিএনএস ডেস্ক: বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। তাঁর গান দর্শকের কাছে যেন অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি ঈদে আপনার গাওয়া গানের অনুষ্ঠান বেশ আলোচনায় থাকে। এবারের চমক নিয়ে জানতে চাই।

এবারের চমক বলতে আমার কাছে মনে হয়, এটা একরকম রেকর্ড হতে যাচ্ছে আমার দুই চ্যানেল এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ মিলে গান আসছে প্রায় ৩৮টি। প্রথম দিন বাংলা এবং হিন্দি-উর্দু মিলিয়ে ১০টা গান। দ্বিতীয় দিন এটিএন বাংলায় ১০টা ৩০ মিনিটে প্রকাশ হবে ডুয়েট গান। আমাদেরই শিল্পীদের সঙ্গে ডুয়েট কিছু গান আমি গেয়েছি। ঠিক এভাবেই এটিএন নিউজেরও ১০ গান, ৫টি বাংলা আর ৫টি হিন্দি-উর্দু। একই স্টাইলে দুই চ্যানেলে গানগুলো চলবে।

বাংলার পাশাপাশি হিন্দি-উর্দু গান করার পরিকল্পনা কেন?

আসলে আমার যেটা ছিল সেটা হলো প্রথমবার আমি মেহেদী হাসানের কিছু গান গাই। গানগুলো গাওয়ার পর দেখা গেল শ্রোতারা গানগুলো খুবই পছন্দ করেছেন। এরপর থেকে তাদের রিকোয়েস্ট যে বাংলা গান ছাড়াও হিন্দি-উর্দু গান যেন আমি করি। কিন্তু আমাদের তো বাংলা চ্যানেল। তবু সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রথমে বাংলা করি, পরে করি হিন্দি। এখন তো আমার গাওয়া গান বিদেশে বসবাসরত মানুষ খুবই শোনেন। যাই হোক এবার কিছু বাছাই করা গান আমি গেয়েছি। ভালো ভিডিও বানানো হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই গানগুলো সব শ্রোতার ভালো লাগবে।

আপনার ফ্যাশন সেন্স এবং হেয়ারস্টাইল সবার কাছে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে...

আমার হেয়ারস্টাইল যেটা দেখছেন তা অনেক পুরনো। আমার ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই। তখন থেকেই এই হেয়ারস্টাইলটা আমি করে আসছি। আর ড্রেসআপটা হলো আমি কিন্তু সব সময় পাঞ্জাবি পরে গান গাই। পাঞ্জাবিগুলো খুবই ভালো এবং প্রত্যেকটি আমি অর্ডার দিয়ে বানাই। কিছু মুম্বাই-দিল্লি থেকে তৈরি করে আনা। এগুলো এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবি। এটার দ্বিতীয় পিস থাকে না সাধারণত।

আপনার অনেক ফ্যান-ফলোয়ার, যার মধ্যে নারী ভক্তরাই বেশি। এর রহস্য কী?

ইদানীং আমার অনেক ফলোয়ার হয়ে গেছে। দেশের থেকে যখন আমি বিদেশে যাই তখন এ বিষয়টা টের পাই। বিদেশে ফলোয়াররা আসে সব সেলফি তোলার জন্য। কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেও দেখা যায় যে, খাওয়ার চেয়ে বেশি সেলফিই তুলতে হয়। শপিংয়ে গেলে ভক্তদের কারণে শপিংও করতে পারি না, সেলফি তুলতে হয়। প্রথম প্রথম খুব ভালো লাগত, এখন বিরক্ত লাগে খুব। তবে যখন ভাবি ভক্তরা আমাকে ভালোবাসে, তখন সব কষ্ট-বিরক্ত ভুলে যাই।

বাংলা-হিন্দি-উর্দু গানের পর ইংরেজি গান করবেন কি?

আগামীতে ইংলিশ গানও করতে পারি। তো দেখা যাক। তবে ইংলিশ গান করতে মূল সমস্যা যেটা তা হলো এর মিউজিকটা আমরা ঠিকঠাক করতে পারি না। তাছাড়া অনেক সমস্যার কারণে ইংলিশ গান একটু কঠিন গাওয়া।

ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিল? এখনকার ঈদ কেমন?

তখন ঈদ মানেই ছিল মহা আনন্দ। সাত, দশ দিন আগের থেকেই তো ফুর্তি চলতে থাকে। অনেক প্রিপারেশন। কী পরব, কী কিনব, কী খাব- এসব নিয়েই যত ব্যস্ততা ছিল। এখন ঈদ মানে বাড়িতে বসে থাকা সারা দিন। তবে আমি নামাজ পড়ে আসার পর সারা দিন বিভিন্ন চ্যানেলে প্রোগ্রাম দেখি। খুব একটা বেশি বাহিরে যাই না।

গানের ভুবনে নিজেকে জড়ানোর গল্পটা বলবেন কি?

গান আমার প্রধান হবি। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি দুর্বলতা ছিল। বাবা গান পছন্দ করতেন। দুজন শিক্ষক আমার বোনকে বাসায় এসে গান শেখাতেন। এতে করে গানের সঙ্গে মিতালিটা আমার জন্য খুব সহজ হয়ে যায়। এখন গানই আমার স্বাচ্ছন্দ্যের প্রধান জায়গা, গান নিয়েই আমি থাকতে চাই। গানের প্রতি নিজের প্রচণ্ড ভালোবাসা কাজ করে মন থেকে। তাইতো দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য গেয়ে যাচ্ছি। দর্শকরাও ভালোবেসে আমার গান শুনছেন, এ জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

আপনার গানে রোমান্টিকতা ও বিরহের প্রাধান্য কেন?

একটি নির্দিষ্ট ধাঁচের গানের মধ্যে আমি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। শ্রোতাদের জন্য আমি সব ধরনের গান উপহার দিতে চেয়েছি।)


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন