কিউবানদের অন্য অভিবাসীদের মতই দেখবে যুক্তরাষ্ট্র

  13-01-2017 09:18PM

পিএনএস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করা কিউবানদের বসবাসের সুযোগ দেওয়ার ২০ বছরের পুরোনো নীতির অবসান ঘটিয়ে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, “তাদেরকে এখন অন্য দেশের অভিবাসীদের মত একই চোখে দেখা হবে।”

এর ফলে এখন থেকে কিউবার কোনও নাগরিকের ভিসা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের দিন শেষ হল।

পুরনো নীতির আওতায় এতদিন কিউবানরা কোনওভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারলে তাদেরকে একবছর পর আইনিভাবে স্থায়ী বাসিন্দা করা হত। একে ‘ওয়েট ফুট/ড্রাই ফুট’ নীতি বলা হয়।

কিউবানদের জন্য এ বিশেষ অভিবাসন নীতি থাকলেও অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার কিংবা বিতাড়িত হতে পারে।

এখন কিউবানদের জন্য ওই বিশেষ নীতির অবসান ঘটায় তাদেরকেও অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের মত করেই গ্রহণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

কিউবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে । আর এর বিনিময়ে, হাভানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত কিউবানদের গ্রহণ করতেও রাজি হয়েছে।

কিউবা বহুদিন থেকেই পুরোনো নীতির সমালোচনা করে বলে আসছিল, এরমধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতিবছর ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

পরে ২০১৪ সাল থেকে ওবামা প্রশাসন কিউবার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন ঘটাতে শুরু করার পর এর আওতায়ই পুরোনো নীতির সমাপ্তি টানল। তবে এমন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিউবানদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছে।

ওদিকে, কিউবা সরকার এ সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক’ আখ্যা দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, “নিয়মিত, নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

সিনহুয়া বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আইন লঙ্ঘন করলে অথবা সেখানে প্রবেশ বা অবৈধভাবে বসবাসের চেষ্টা করার সময় কিউবার নাগরিকরা যদি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয় তবে কিউবা সরকার তাদের গ্রহণ করবে।

উভয় সরকারই অ-নির্বাচনী পদ্ধতিতে অভিবাসন আইনের প্রয়োগ এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে একমত হয়েছে।

সেই সঙ্গে চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়নে উভয় দেশ পরষ্পরকে সহযোগিতার বিষয়েও একমত হয়েছে।

২০ জানুয়ারি ওবামার মেয়াদ শেষ হবে। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র আট দিন আগে ওবামা প্রশাসনের এই উদ্যেগ কতটা বহাল থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক করার যে উদ্যোগ ওবামা নিয়েছেন তা আবারও ভেবে দেখার করার কথা বলেছেন ট্রাম্প।

১৯২৮ সালের পর গত বছর মার্চে ওবামাই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি কিউবা সফরে যান।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন