যেসব ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল বিশ্ব

  20-09-2017 08:51PM

পিএনএস ডেস্ক : গত একশো বছরে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পের কারণে। যদিও এই সময়ে প্রযুক্তির অনেক উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু তাতে ভূমিকম্পের কারণে মানুষের মৃত্যু খুব একটা ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৭
মেক্সিকোতে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পে যখন মেক্সিকো কেঁপে উঠে তখন মেক্সিকো সিটির মানুষ ভূমিকম্পের মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল। মাত্র ১২ দিন আগেই গত ৭ই সেপ্টেম্বর দেশটিতে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যদিও সেটি ততটা বিধ্বংসী ছিল না। ওই ভূমিকম্পে দক্ষিণ মেক্সিকো ও গুয়াতেমালায় প্রাণ হারিয়েছিল ৬৫ জনেরও বেশি মানুষ।

২৪শে অগাস্ট ২০১৬
ইতালিতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় হারায় অন্তত ২৯৮ জন। ওই ভূমিকম্পে মূলত প্রাচীন শহর অ্যামাট্রিস প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় শত বছরের ঐতিহাসিক ভবন।

১৬ই এপ্রিল ২০১৬
ইকুয়েডরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সাড়ে ছয়শোরো বেশি মানুষ নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। ধ্বংস হয়ে যায় সাত হাজার ভবন।

২৬শে অক্টোবর ২০১৫
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে পাকিস্তানে প্রাণ হারায় অন্তত ৪০০ মানুষ। পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের উত্তরাঞ্চল ও তাজিকিস্তানেও ভূমিতকম্প অনুভূত হয়।

২৫শে এপ্রিল ২০১৫
নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ১৯৩৪ সালের পর দেশটিতে ওটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা। নেপালের কয়েকটি পাহাড়ী এলাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ ঘরবাড়িই ধ্বংস হয়ে যায়।

৩রা অগাস্ট ২০১৪
চীনের ইউনান প্রদেশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় ছয়শোর মতো মানুষ। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটে। প্রায় দুই হাজার চারশো মানুষ এতে আহত হয়।

১৫ ই অক্টোবর ২০১৩
ফিলিপিন্সে বোহোল ও কেবু নামক এলাকায় ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুইশোরো বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৩
পাকিস্তানে আঘাত হানে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তান এ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রাণ হারায় তিনশোর বেশি মানুষ।

২০শে এপ্রিল ২০১৩
চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ হাজার সাতশোর বেশি মানুষ।

১১ই অগাস্ট ২০১২
ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ দুটো ভূমিকম্পে অন্তত আড়াইশো মানুষ প্রাণ হারায়, আহত হয় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।

২৩শে অক্টোবর ২০১১
তুরস্কে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণ হারা দুইশোর বেশি মানু, আহত হয় অন্তত এক হাজার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এরকিস শহর, সেখানে বহু ভবন ধসে পড়ে, আহত বেশিরভাগই ওই শহরের বাসিন্দা।

১১ই মার্চ ২০১১
জাপানে ৮.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিশ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় বা নিখোঁজ হয়। ওই ভূমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামিও আঘাত হানে দেশটির উপকূলে।

২২শে ফেব্রুয়ারি ২০১১
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৬০ এর বেশি মানুষ নিহত হয় , দশ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

১৪ই এপ্রিল ২০১০
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিনঘাই প্রদেশে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় অন্তত চারশো মানুষ।

২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০১০
চিলির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কনসেপকিওনে ৮.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় সাতশোর বেশি মানুষ।

১২ই জানুয়ারি ২০১০
হাইতির রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ২লাখ ত্রিশ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়।

৩০শে সেপ্টেম্বর ২০০৯
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ভূমিকম্পের ফলে এক হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

৬ই এপ্রিল ২০০৯
ইতালির লা'কুইলায় ভূমিকম্পে ৩০৯ জন নিহত হয়।

২৯শে অক্টোবর ২০০৮
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় তিনশোর বেশি মানুষ।

১২ই মে ২০০৮
চীনের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সিচুয়ান প্রদেশে ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, আহত হয় তিন লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন