খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির সময় বিশৃঙ্খলার কারণে বিচারকের এজলাস ত্যাগ

  25-02-2018 02:42PM


পিএনএস ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারা অভ্যন্তরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির সময় আইনজীবীদের বিশৃংখলার কারণে বিচারকের এজলাস ত্যাগ করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম।

রবিবার দুপুর ২টায় শুনানির পর এই ঘটনা ঘটে। এদিনের কার্যতালিকায় জামিন আবেদনটি ৩৬ নম্বর ক্রমিকে ছিল। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতে নথি তলব করেন। এ নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠাতে হবে। সেদিন জামিন আবেদনের শুনানির জন্য রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করেন আদালত।

জামিনের জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ৩২টি যুক্তি দেখিয়েছেন। যুক্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জাটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিক, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে আয়রণ স্বল্পতায় ভুগছেন।

তাছাড়া ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক এসব জাটিলতার কারণ বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের সবিনয় আবেদন জানানো হয়।

এর আগে তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রত্যেক যুক্তির বিরুদ্ধে আদালতে জবাব দেওয়া হবে।

২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত আদালতের বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি (অনুলিপি) হাতে পান। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে পুরোনো ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন