ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৫ কিমি. যানজট

  15-12-2017 01:11PM


পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১২ ঘন্টাব্যাপী ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

যানজট সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের মেঘনা ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। যানজটের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়ে। এতে এ মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়তে বাধ্য হয়।

ট্রাফিক পুলিশ জানায়, মহাসড়কের মদনপুর ও মেঘনা সেতু এলাকায় রাতে দুটি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় এবং যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর ও মেঘনা সেতু এলাকায় থেকে শুরু হয় যানজট। এ যানজট ধীরে ধীরে পূর্বদিকে মদনপুর, লাঙ্গলবন্দ, মোগরাপাড়া, মেঘনা ব্রিজ ও পশ্চিম দিকে শিমরাইল মোড়, মৌচাক ও সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

এতে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় জেলাগুলোর দূরপাল্লার যাত্রীবাহীবাসসহ শত শত যানবাহন রাস্তায় আটক পড়ে। এতে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে পড়ে নানা বিড়ম্বনায় কাটাতে বাধ্য হন। রাতে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করলেও যানজট দূর করতে তারা ব্যর্থ হন।

কুমিল্লার যাত্রী আব্দুস সালাম মিন্টু ও সুজন জানায়, সকাল ৮টায় সাইনবোর্ড এসে যানজটের কবলে পড়েন। শিমরাইল মোড় পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

চট্টগ্রামের যাত্রী আবু খান জানান, তিনি শুক্রবার ভোরে সায়েদাবাদ থেকে গাড়িতে উঠেছেন। গাড়ি একটু চলাচল করে আবার আধাঘণ্টা থেমে থাকে। এই অবস্থায় সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড়ে পৌঁছলে তার ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

অপর দিকে কুমিল্লা থেকে আসা যাত্রী জাফর আহামেদ ও মোঃ নিজামউদ্দিন আউলিয়া জানান, এভাবে যাত্রীরা দীর্ঘ ১২ ঘন্টা তারা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
শিমরাইলে কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে এ মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর ও মেঘনা সেতু এলাকায় রাতে দুটি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে এবং যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সূত্রপাত হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন