ভারতের নতুন কোচ কে?

  24-06-2017 08:48PM

পিএনএস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদটা এখন শূন্য। এই পদে আবেদনের মেয়াদ গত ৩১ মে শেষ হয়ে গেলেও এটি নতুন করে আবারও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত অনিল কুম্বলের উত্তরসূরি হওয়ার আবেদন করা যাবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন করে আবেদন করার সময়সীমা কেন বাড়ানো হলো। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) মনে করে এতে করে হয়তো আবেদনকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়বে। পছন্দের তালিকাটা বড় হওয়ায় কোচ বাছাই করতেও সুবিধা হবে।

প্রথমবার কোচের পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হলে খুব আবেদনপত্র জমা পড়েনি। আবেদনকারীদের মধ্যে হাইপ্রোফাইল ছিলেন তিনজন—বীরেন্দর শেবাগ, অস্ট্রেলিয়ার টম মুডি ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড পাইবাস।

অন্যদের মধ্যে আবেদন করেছিলেন লালচাঁদ রাজপুত ও ডোড্ডা গণেশ। অনিল কুম্বলেও নতুন করে আবেদন করেছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে নতুন করে আবেদনপত্র চাওয়ায় শুরু হয়েছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। অনেকে বলছেন, রবি শাস্ত্রী যেন আবেদন করেন, সে কারণেই নতুন করে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। কুম্বলের প্রতি অনাস্থা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই বিরাট কোহলি কোচ হিসেবে শাস্ত্রীকে ফেরানোর জোর দাবি জানিয়েছিলেন।

তবে শাস্ত্রীকে ভারতের কোচ করা হবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রশ্নটা মূলত উঠছে বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটির কারণেই। কুম্বলেকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর শাস্ত্রীর সঙ্গে উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য সৌরভ গাঙ্গুলীর মনোমালিন্যের ব্যাপারটি এখনো টাটকা। তবে অন্য দুই সদস্য শচীন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষ্মণ শাস্ত্রীর ব্যাপারে নেতিবাচক হবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সৌরভ যদি রাজি না হন, তাতে শাস্ত্রীর ব্যাপারে ইতিবাচক হওয়াটা টেন্ডুলকার ও লক্ষ্মণের জন্য বেশ কঠিনই হবে।

শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেটারদের খুব পছন্দের ব্যক্তি। ২০১৪ সালে ‘কোচিং ডিরেক্টর’ হয়ে তিনি ভারতীয় দলকে সাফল্যও এনে দিয়েছিলেন। ভারত হালে যে ভয়ডরহীন ক্রিকেটটা খেলছে, তার একটা বড় কৃতিত্ব কিন্তু দিতে হবে শাস্ত্রীকে। কিন্তু শাস্ত্রীর ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহটাই তাঁর জন্য নেতিবাচক ব্যাপার। তবে ৯ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করার সময়সীমা বাড়লেও শাস্ত্রী কোনো আবেদনপত্র পাঠাবেন না বলেই জানা গেছে। তিনি নাকি বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তাঁকে নতুন করে কোচের পদে পেতে চায় তারা, তাহলে যেন ফোন করে অনুরোধ জানানো হয়। বোর্ড থেকে ফোন এলেই কেবল তিনি ব্যাপারটা নিয়ে ভাববেন।
বীরেন্দর শেবাগকে কোচ হিসেবে বোর্ডের অনেকেই পছন্দ করছেন না।

প্রথমবার বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর তিনি এক লাইনে আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলেন। ব্যাপারটি বোর্ডের অনেকেই পছন্দ করেননি। নতুন করে তাঁকে পরিপূর্ণ আবেদনপত্র পাঠাতে বলা হয়। তিনি সেটা করেছেন। জানা গেছে, প্রভাবশালী একটি মহলের সবুজসংকেত পেয়েই নাকি শেবাগ আবেদন করেছিলেন। তবে আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মেনটর হিসেবে তাঁর কাজে খুব একটা ভরসা করতে পারছেন না কেউই।

বাকি থাকছেন টম মুডি। কোচ নির্বাচনের এই খেলায় তিনি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন। আইপিএলে গত মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন। কোচ হিসেবে অতীতে কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কান জাতীয় দলের হয়ে। সেখানে রেকর্ড খুব খারাপ নয়। অনেকেই মনে করেন, বিতর্ক এড়াতে তাঁকেই ভারতীয় দলের কোচ করা হতে পারে।

তবে ভারতীয় দলের কোচ নির্বাচনে একটা বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—ড্রেসিং রুমের সৌহার্দ্য। কোচ যাঁকেই নির্বাচন করা হোক না কেন, সেটি আপাতত কোহলিদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়েই করা হবে। সে ক্ষেত্রে রবি শাস্ত্রী যদি আবারও মসনদে বসে যান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সূত্র: জি নিউজ।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন