সাইবার নিরাপত্তায় আত্মপ্রকাশ করেছে আইএসএ

  26-12-2016 11:14PM

পিএনএস ডেস্ক : সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সমাজের সচেতনতা বাড়াতে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারে সহায়তা দিতে আত্মপ্রকাশ করেছে সিটিও ফোরামের অঙ্গ সংগঠন ইনফরমেশন সিকিউরিটি এলায়েন্স (আইএসএ)। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে আইএসএ। সিটিও ফোরাম বাংলদেশ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হেলালউদ্দিন আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের আইটি ম্যানেজার মো. আরিফ এলাহি মানিক, বিডব্লিউআইটির সভাপতি সামসুদ্দোহা ও বিডিসিআইআরটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন আহম্মদ সাব্বির। মূল বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিরিউটি সেন্টারের ডাইরেক্টর ড. তৌহিদ ভূইয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপনকান্তি সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে এতো ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার দরকার নেই। সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন দেশের তালিকার উচ্চ পর্যায়ে বাংলাদেশের নাম নেই। সাইবার সিকিউরিটি ‘ল’ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্যাবিনেটে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে এটি অনুমোদিত হয়েছে। ‘ল’টি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, অভিযোগ করা ও প্রতিকারের কোনো জায়গা নেই। যেখানে অভিযোগ ও প্রতিকারের জায়গা নেই সেখানে নাগরিকরা নিরাপদ থাকতে পারে না। সফটওয়্যারের কাজে চরম বৈষম্য বিরাজ করছে। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে।

মূল প্রবন্ধে ড. তৌহিদ ভূইয়া বলেন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিও বেড়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে অতিমাত্রার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত কয়েকবছরে উচ্চ পর্যায়ে এধরনের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। সাইবার অপরাধীরা সহজেই আমাদের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে হাতিয়ে নিচ্ছে সংবেদনশীল জাতীয় ও আর্থিক তথ্য। এই সঙ্গে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে দেশের বিপুল অংকের অর্থ সম্পদ। তাই বিষয়টিকে আর হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।

স্বাগত বক্তব্যে আইএসএ’র আত্মপ্রকাশের উদ্দেশ্য তুলে ধরে তপনকান্তি সরকার বলেন, সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে অপর্যাপ্ত জ্ঞান, দক্ষ জনশক্তির অভাব এবং অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা সচেতনতা দূর করতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে আইএসএ’র আত্মপ্রকাশ করেছে। এছাড়া আইএসএ সাইবার নিরাপত্তা বিধানে আইনগত কার্যক্রম ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিষয়ে ব্যাংক, শিল্প ও অন্যান্য ব্যবসা সংগঠনগুলোকে সমর্থন করে সকলের সঙ্গে কাজ করবে। সাইবার সিকিউরিটির অগ্রগতিতে এবং ব্যবসা মোকাবেলার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সংশ্লিষ্ট গবেষণার কাজ পরিচালনাই হবে আইএসএ এর প্রধান কাজ।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন