পিএনএস ডেস্ক: সম্প্রতি ব্রিটেনের দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে পুরুষত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্ড্রু স্মাইলার বলেছেন, পর্নো দেখার কারণে প্রতি ১০ জন তরুণের অন্তত একজনের লিঙ্গোত্থানে ব্যর্থতাজনিত সমস্যায় ভুগছে।
তিনি বলেন, অনলাইনে সহজেই সীমাহীন পর্নো সহজলভ্য হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যবান যুবকেদরও যৌন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৩ থেকে ২৫।
তিনি মনে করেন, কেউ যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে টানা পাঁচ বছর পর্নো দেখে এবং হস্তমৈথুন করে তাহলে কোনো নারীর সঙ্গে যৌন মিলন করতে গিয়ে তার আর লিঙ্গোত্থান হবে না।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের এক তৃতীয়াংশই প্রতিদিন পর্নো দেখেন। আর স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং দ্রুততর ইন্টারনেটে সংযোগের ফলে এই সংখ্যা এখন আরো অনেক বেশি বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মনোযৌনতা বিষয়ক চিকিৎসক ড. অ্যাঞ্জেলা গ্রেগরি বলেন,পুরুষরা মানসিক এবং শারীরিক উভয়ভাবেই নারীর সাথে বাস্তব যৌন মিলনের সময় স্বাভাবিক উদ্দীপনা ও উত্তেজনার প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, অনেকে আবার অতিযৌনায়িত হয়ে পড়ছেন এবং হরহামেশাই যৌন উত্তেজনা বোধ করছেন। এটা অনেকটা খুজলি-পাঁচড়ার মতো যাতে একবার আঁচড় কাটলে সারাক্ষণই তা মনের ভেতরে বিরাজ করে।
তাছাড়া পর্নো দেখার ফলে পুরুষদের মনে যৌনতা সম্পর্কে অস্বাভাবিক ধ্যান-ধারণাও সৃষ্টি হতে পারে। পর্নো মুভিতে সাধারণত খুব সহজেই যৌনমিলন ঘটে। সবাই খুব সহজেই যৌনতায় লিপ্ত হয় এবং কেউ কখনো না বলেন না। যদিও বাস্তবে মানুষ সব সময়ই যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত থাকেন না।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
পর্নের প্রভাবে ধ্বংস হচ্ছে তরুণদের যৌন সক্ষমতা
10-01-2017 08:22AM