প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আটক ১৫

  20-04-2018 03:53PM


পিএনএস, মাদারীপুর: মাদারীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে ওই পরীক্ষা চলালীন শহরের দুটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এসময় প্রশ্নফাঁস চক্রের কাছ থেকে ল্যাপটপ, ডিভাইস, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মালামাল উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলেন- পলাশ মন্ডল (৩৫), মনতোষ সরকার (৩২), আকরাম হোসেন (২৪), অপূর্ব হাওলাদার (৩৫), বিনয় ভক্ত (২৭), অনাদী বিশ্বাস (২৭), শশাঙ্ক বৈদ্য (৩২), তানভীর আহম্মেদ (৩১), মৃদুল হালাদার (৩০), আশিষ বালা (২৯), মৃত্যুঞ্জয় বালা (২৫), অলোক বালা (২০), সন্তোষ হালদার (৪০), সুরঞ্জন পান্ডে (৪২) ও মকসেদুল আলম (৩৫)।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, মাদারীপুরে স্কুল ও কলেজের ১৬টি কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টায় ২০১৪ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়।

এই নিয়োগ পরীক্ষায় একটি চক্র টাকার বিনিময়ে উত্তরপত্র সরবরাহ করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ শহরের পাঠককান্দি এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালায়।

এ সময় সেখান থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে পরে পাশের আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে আটক করে জেলা ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আটকদের কাছ থেকে জব্দ করা প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

আটকদের অনেকেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, আজকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র সরবরাহের তিনটি ডিভাইস ও ২ লাখ ১৮ হাজার টাকাসহ বরগুনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বরগুনার পৌরসভার কলেজ ব্রাঞ্চ রোড এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, মোসা. নাজমা বেগম, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন এবং মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। এদের মধ্যে শামসুদ্দিন এবং আমানুল্লাহ দুই ভাই। আর নাজমা বেগম তাদের অপর আরেক ভাইয়ের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনার কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের একটি বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওই বাসা থেকে তিনটি পরীক্ষার উত্তর সরবরাহের তিনটি ডিভাইস, একটি হেডফোন এবং নগদ ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন