উত্তাপ মুরগি-গরুর মাংসের বাজারে, সবজিতে স্বস্তি

  05-04-2024 02:55PM



পিএনএস ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে গরুর মাংস ও ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। আর ৫০-১০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৪০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদ সামনে রেখে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়ে শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা সোহেল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগিরসহ সব ধরনের মুরগির দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এদিন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। কোথাও কোথাও হাড়ছাড়া মাংস সাড়ে ৯০০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতিতে গরুর মাংসের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।

সেগুনবাগিচা বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এ বাজারে বিক্রেতা অনিক মাহমুদ জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে গরুর দাম বেড়েছে। যে কারণে মাংসের দামও বাড়তি। কম দামে মাংস বিক্রি করে তাদের কোনো লাভই হয় না। আগে গরুর দাম কম ছিল, তাই আমরা কম দামে মাংস বিক্রি করেছি। এখন গরুর দাম বেশি, যে দামে কিনি সে হিসাবে বিক্রি করতে হয়।

মাংসের দাম বাড়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো মাংসের দাম নিচ্ছেন। কোথাও সাড়ে ৬০০, কোথাও ৭০০, কোথাও আবার ৮০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। বাজার তদারকির দুর্বলতার কারণে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা।

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১২৫ টাকা। হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন