বিয়ের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা

  16-08-2017 03:27AM

পিএনএস ডেস্ক: স্বামী একাধিক বিয়ে করার পর আবারও বিয়ে করতে চাইলে প্রতিবাদ করে স্ত্রী। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম স্ত্রী ২ সন্তানের জননী শরিফা আক্তারকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের পর হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা চালায় পাষন্ড স্বামী হাফিজ উদ্দিন। মুমূর্ষু অবস্থায় শরিফাকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্বরোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার গভীররাতে মুক্তাগাছা উপজেলার মন্ডলসেন গ্রামে। এ ঘটনায় হাফিজ উদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, মন্ডলসেন গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে শরিফা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। ইতোমধ্যে তাদের দুটি সন্তান হয়। স্বামী হাফিজ এ সময়ের মধ্যে আরও একাধিক বিয়ে করে। এদিকে হাফিজ উদ্দিন প্রথম স্ত্রী শরিফা খাতুনকে না জানিয়ে সোনারগাঁও গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ইসমত আরাকে তিন বছর আগে বিয়ে করে। এ ঘটনা প্রকাশ পেলে স্ত্রী শরিফার সঙ্গে স্বামী হাফিজের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত শনিবার রাতেও স্বামীর সঙ্গে শরিফার ব্যাপক ঝগড়া হয়। রাত ৩টার দিকে হাফিজ উদ্দিন শরিফার হাত পা বেঁধে বধড়ক মারধর করে। হাফিজ ব্লেড দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে আহত করে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শরিফার হাত পা বেঁধে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা চালায় হাফিজ। এ সময় শরিফা কৌশলে পায়ের বাঁধন খুলে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই জঙ্গলে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।

হাসপাতালে ভর্তি আহত শরিফা আক্তার বলেন, দুটি ছেলে থাকার পরও স্বামীর বিয়ে করার প্রতিবাদ করায় তাকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে দেয়। এরপর বস্তায় ভরে মেরে ফেলার চেষ্টা করে তার স্বামী।

মুক্তাগাছা থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াজেদ আলী বলেন, এ ঘটনায় শরিফার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার নামে এর আগে আরও বিয়ে করাসহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।



পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন