পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জিরো টলারেন্স এবং পাউবো’র জনৈক প্রকৌশলীর বিগ বাজেটের তুরুপের তাস (পর্ব-২)

  06-12-2017 03:41PM

পিএনএস (মো: শাহাবুদ্দিন শিকদার) : পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়ে পাউবো’কে অনেকটাই স্বচ্ছ ধারার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন যা সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু মাঝে মাঝে দুই-একজন অতি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সব পরিকল্পনাকে লণ্ডভণ্ড করে ফেলেন। তেমনি এক চলতি দায়িত্বের নির্বাহী প্রকৌশলী সুবিধাজনক জায়গায় পোস্টিং পেতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তার নিকটই তাঁর অবাধ যাতায়াত। ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরেও। সে সমস্ত জায়গা থেকে ফোন আসছে তাঁর অনুকূলে। যে সমস্ত জায়গায় কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করার সুযোগ আছে সে সমস্ত জায়গায় পোস্টিং দেয়ার নির্দেশনা সম্বলিত ফোন। এতো দিন ফোন আসতো মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ পওর বিভাগে পদায়নের জন্য। এখন ফোন আসছে টাঙ্গাইল পওর বিভাগে পদায়নের জন্য। না পারলে সিরাজগঞ্জ কিংবা ভোলা হলেও চলবে। এভাবে দুর্নীতি করার সুযোগ প্রদানের অনুরোধসহ ফোন আসছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিরাটকায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ফোনও এসেছে। সে ফোনে টালমাটাল মন্ত্রণালয় এবং পাউবো। অনেকেই মনে করছেন, এবার এই অতি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ঠেকায় কে? মন্ত্রণালয়ের জিরো টলারেন্সের ঘোষণা এবার মুখ থুবড়ে পড়লো বলে-

সূত্রমতে, চলতি দায়িত্বের এই নির্বাহী প্রকৌশলী কয়েক মাস আগেই টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন। বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার প্রকল্পে পাহাড় সমান দুর্নীতি করে কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জনের কাহিনী সকলেরই জানা। এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল তাঁর সাব-কন্ট্রাক্ট বাণিজ্যের কারণেই। আবার সে বাণিজ্য করার জন্য আবার তিনি টাঙ্গাইল আসতে চান। চিহ্নিত ঠিকাদাররা অবাধ সুবিধা পেতে তাঁর পিছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছেন।

এই প্রতিনিধির নিকট বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার প্রকল্পের দুর্নীতির অনেক তথ্যই আছে যা পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে পরবর্তী পর্বগুলোতে প্রকাশিত হবে। কমপক্ষে ৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলীর সময়ে তিনি কি ধরণের দুর্নীতি করেছেন তা স্বচ্ছভাবে প্রদর্শিত হবে। বিশ্লেষণ করা যাবে সকল ফাঁক-ফোঁকর। ইতিমধ্যেই দুদক এ ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে।

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, এই দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর দুর্নীতির মূলোৎপাটনে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। কিন্তু কে তা করবেন? অনেকেই তাঁর টাকার কাছে অসহায়। (চলবে)

পিএনএস/ মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন