ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা!

  20-03-2018 12:41AM

পিএনএস ডেস্ক: অবৈধ সুবিধা নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের রেহাই দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকিরসহ দুই পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অপর পুলিশ সদস্য হলেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক এস এম কাওসার সুলতান।

সোমবার (১৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম আগামী ১ এপ্রিল তাদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেন।

এই আদেশের কপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ পুলিশ হেড কোয়াটারসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

আদালত আদেশে বলেন, গত ১৮ মার্চ গণমাধ্যমে খবর এসেছে “৫ জাহার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর মামলা হলো শুধু ৭৫ পিসের” বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে। এছাড়া উল্লিখিত ঘটনা, ঘটনাস্থান ও জড়িত ব্যক্তিদের নামের সঙ্গে মামলার আসামিদের মিল রয়েছে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী চান্দাসহ চার নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মামলার এজহারে বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌসের কাছ থেকে ৩৯ পিস ইয়াবা এবং আসামি চান্দার কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা (মোট ৭৫ পিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এজহার, জব্দ তালিকা ও পুলিশ ফরোয়ার্ডিংয়ের কোথাও অপর কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।

আসামিদের গ্রেফতারকালে যে পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে তার ৫ ভাগও জব্দ দেখানো হয়নি এবং চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দুজনকে ছেড়ে দেয়া বলে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। তাই কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ২৫ ধারা ও পুলিশ রেগুলেশনস অব বেঙ্গল ১৯৪৩ এর ২৫ নং রেগুলেশনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আদালতের নজরে নেয়া হলো।

এছাড়া ওই তথ্য অনুয়ায়ী এজাহারকারী উপ-পরিদর্শক কাওসার সুলতান ও পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে তাদের আইনানুগ বর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। বিষয়টি পেনাল কোডের ১৬১ ও ১৬৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধকে আকৃষ্ট করে।

এমতাবস্থায় পল্লবী থানার অফিসাস ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক এস এম কাওসার সুলতানের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সেমর্মে আগামী ১ এপ্রিল সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

জানা গেছে, রাজধানীর পল্লবীতে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সিনিয়র উপদেষ্টা শাহজাদার স্ত্রী ও ছেলের শ্বশুরসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দুইজনকে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়া হয় এবং অন্য দুজনের কাছ থেকে মাত্র ৭৫ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে মামলা করে। এতে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন