অশ্লীলতার বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান, আটক ২৭

  19-11-2018 08:01PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানী গুলিস্তান, পল্টন এবং কদমতলী এলাকায় পাইরেসি ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করেছে র‌্যাব পিড এ্যকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব ৩)। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ পাইরেটেড সিডি, সিডি কপি রাইট মেশিন ও পাইরেসির কাজে ব্যবহরিত সরঞ্জাম জব্দ করেছে র‌্যাব।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো ইমরানুল হাসান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন (২৭), মোঃ শাহিন (২৮),মোঃ রায়হান উদ্দিন (২৬), টিপন চন্দ্র হাওলাদার (২৬), মোঃ তারেক হোসেন (২০), মোঃ সম্রাট হোসেন (২১), মোঃ মিজানুর রহমান (২২), মোঃ সোহাগ হোসেন (৩০), মোঃ নুর উদ্দিন (৪০), মোঃ রানা (২২), মোঃ নাঈম উদ্দিন ভুইয়া (২৪), মোঃ শেখ সালাহউদ্দিন (২৮), মোঃ জাফর (৩০), মামুন হোসেন (২২), আব্দুল আল মামুন (২৫), মোঃ রোকন উদ্দিন (২৮), মোঃ অপু (২৬), মোঃ মনির (২০), মোঃ রায়হান (২৫), মোঃ আব্দুল কাইয়ুম (২১), মোঃ আকবর হোসেন (২২), মোঃ নাইমুল ইসলাম (১৯), মোঃ পিন্টু মিয়া (২৪), মোঃ শাকিল (৩৩), মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৪), মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৪)।

র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, ‘পাইরেসি ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে র‌্যাব-৩ এবং চলচ্চিত্র অশ্লীলতা ও পাইরেসি বিরোধী টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে ফকিরাপুল এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাইরেটেড সিডি ও সরঞ্জামসহ আসামি গিয়াস উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ২৬ জনকে আটক করা হয়।’

তাদের মধ্যে মতিঝিল এলাকা থেকে ১০ জন, বংশাল এলাকা থেকে তিনজন, কদমতলী এলাকা থেকে চারজন এবং শ্যামপুর থেকে নয়জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আটক ২৬ জনই গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি সংগ্রহ করতো এবং এই কাজে তাকে সহায়তা করতো।’

এমরানুল হাসান বলেন, ‘এ ধরনের অসাধু ব্যক্তিদের কারণে বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অশ্লীলতা প্রচারের মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন যুবসমাজকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে অপসংস্কৃতি প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে। এতে ইন্ডাস্ট্রিও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

কেন পাইরেসি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাইরেসি ব্যবসা খুব সহজ একটি ব্যবসা। একটি সিনেমা, গান ইউটিউব বা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে ডাউনলোড করে সেটি কপিরাইট করে থাকে এই চক্র। এক্ষেত্রে তাদের একটি সিডির দাম পরে সাত টাকা। পাইরেটেড এই সিডি এর থেকে অনেক বেশি দামে বাজারে বিক্রি করে তারা। তবে পাইরেসি বন্ধে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, এ জন্য সামাজিক সচেতনতাও প্রয়োজন রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমার নির্মিত ২৩টি চলচ্চিত্রের কোনটিই পাইরেসির হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এই পাইরেসি রোধ করতে র‌্যাব সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পাইরেসির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকলে আমাদের এই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি অনেক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে।’

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন