পিএনএস ডেস্ক : বরগুনার আমতলী উপজেলার ছলিমাবাদ দরবার শরীফের ওরশ মাহফিল থেকে এক কিশোরীকে (১৫) ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে। গত রাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার আমতলী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ইয়ামিন মৃধাসহ তিন জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
ওই ওরশ মাহফিলে খেকুয়ানী গ্রামের জালাল ফরাজী চায়ের দোকান দেন। বাবাকে সহযোগীতা করার জন্য তার কিশোরী কন্যা ওই ওরশ মাহফিলে যায়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই কিশোরী ওরশ মাহফিল ময়দানে যাওয়ার পথে ইয়ামিন মৃধা ও তার সহযোগী রুবেল ও হৃদয় তাকে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী নির্জন এলাকায় নিয়ে কিশোরীকে রুবেল ও হৃদয়ের সহযোগীতায় ইয়ামিন মৃধা ধর্ষণ করে বলে জানান কিশোরী।
কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে আমতলী থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ইয়ামিন মৃধাকে প্রধান আসামী করে তিন জনের নামে কিশোরীর বাবা জালাল ফরাজী বাদী হয়ে আমতলী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম হাওলাদার জানান, কিশোরীর ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে আমার কাছে রেখে যায়। মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে শানু চৌকিদারের কাছে দিয়েছি।ধর্ষিতা কিশোরী জানান, ওরশ মাহফিলের ময়দানের দিকে যাওয়ার পথে তিনজনে আমাকে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। পরে দু’জনের সহযোগীতায় ইয়ামিন মৃধা আমাকে ধর্ষণ করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
পিএনএস/জে এ
বরগুনায় ওরশ থেকে ধরে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ
19-03-2019 08:15PM