শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ও এ্যারোস্পস ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে

  27-03-2017 08:43PM

পিএনএস : বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন এন্ড এ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন, এর অবকাঠামো নির্মাণ এবং সিলেবাস প্রণয়ন সংক্রান্ত এক সভা আজ বিকেলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার, বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স এর এমডি মোসাদ্দেক আহমেদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও স্টেক হোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে এয়ার কমডোর ইয়াজদানী, বিইউপি, পিএসসি, পিএইচডি ইউনিভার্সিটি স্থাপন সংক্রান্ত একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। সভায় জানানো হয়, এভিয়েশন ক্ষেত্রে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক এবং বেসামরিক মানব সম্পদ উন্নয়নসহ জ্ঞান ভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমাজ গঠন। এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার একটি নেতৃস্থানীয় ইউনিভার্সিটি হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ও এ্যারোস্পস ইউনিভার্সিটিকে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদতি হয়েছে। রাজধানীর আশকোনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সিভিল এভিয়েশন ১২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।

সভায় বলা হয়, বিশ্বব্যাপী আগামী ২০ বছরে পাইলটের চাহিদা ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ বিমান কর্মীর চাহিদা ৬ লক্ষ ৫ হাজার রয়েছে বিধায় এভিয়েশন ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি করে বিদেশে প্রেরণের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে জাতীয় অর্থনীতিতে বলিষ্ঠ অবদান রাখা সম্ভব।

শুরুতে তিনটি ফ্যাকাল্টিতে মোট ১০টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে এবং ডিপার্টমেন্টগুলোর আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এভিয়েশন ইউনিভার্সিটি এর এডুকেশন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে শুরুতেই লন্ডনের মিডল সেক্স ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং জ্যাকসন ভিল ইউনিভার্সিটি ইউএসএ এবং মালশিয়ার ইউনিভার্সিটি তুন্ হোসেন ওন্ এর সাথে এডুকেশন এক্সচেঞ্জ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার এর ব্যবস্থা থাকবে।

রাশেদ খান মেনন এমপি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রণালয় হতে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। বিমান বাহিনী প্রধান জানান, বিমান বাহিনীতে পিএইচডি, এমফিল এবং এমএস করা প্রচুর সংখ্যক বিদেশে প্রশিক্ষিত যোগ্য কর্মকর্তা রয়েছে এবং অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তাই এভিয়েশন ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছে। তাঁদের সহযেগিতায় আগামী ৩ বছওে এ ইউনিভার্সিটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা সম্ভব হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন