‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হবে’

  25-03-2019 10:30PM

পিএনএস, জাবি প্রতিনিধি : ‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হবে'। বঙ্গবন্ধু আপনার আমার একার না। বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের সম্পত্তি না, ছাত্রলীগের সম্পত্তি না; ১৬ কোটি মানুষের সম্পত্তি বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে। সবাইকে বঙ্গবন্ধুকে চিনতে হবে। কারণ সবাই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।’’ বলে মন্তব্য করেছেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘মুক্তির আলোয় আলোকিত করি ভুবন’ শিরোনামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র আয়োজিত তিন দিনব্যাপী “মুক্তিসংগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯” এর উদ্বোধন শেষে আলোচনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেশের উন্নতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আজ পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখেন, তারা আমাদের মতো হতে চায়। পাকিস্তান শেষ। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কোন শান্তি-শৃঙ্খলা নেই সেখানে। আর আমাদের দেশ উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই কন্যার দিক নির্দেশনা দিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, উৎসবের আহবায়ক ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা।

সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে উপাচার্য বলেন, ‘‘১৯৭৫-এ জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর বাঙালির স্বাধীনতার গল্পকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা বেশিদিন সফল হতে পারেনি। বাঙালি স্বাধীনতা এবং মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ’’

এদিকে আলোচনা সভা ও সম্মননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। মন্ত্রীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল আলম এবং শিল্পী ফকির আলমগীরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এরপর সেখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মুক্তিসংগ্রামের গান ও কবিতা পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর ও আবৃত্তিকার হাসান আরিফ। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন