সাদা বাড়ি তুমি কার?

  22-10-2016 02:52PM

পিএনএস ডেস্ক: টানা ৩টি বাকযুদ্ধ শেষ। নির্বাচনের কাউন্ট ডাঊন চলছে। প্রভাবশালী রাষ্ট্র বলেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মিডিয়াগুলোতেও এই নির্বাচন নিয়ে তর্কের উত্তাপ কম হয় না। তবে এবারের নির্বাচনটি যেন নাটকীয়তায় ভরপুর। বিখ্যাত হোয়াইট হাউজ (সাদা বাড়ি)-এ আগামী ৪ বছরের জন্য কে ঠিকানা গড়বেন তারই বিশ্লেষণ করেছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচনের বাকি আর সপ্তাহ দুয়েকের কিছু বেশি। ৮ নভেম্বরকে সামনে রেখে যখন নির্বাচনে অভিবাসন ইস্যু নিয়ে কিছু লিখবো ঠিক করেছি তখনই এমনকিছু বিষয় সামনে চলে এসেছে যে, তাতে মনে হচ্ছে এবারের নির্বাচনে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে নোংরামি। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ যে পচা দুর্গন্ধে ভরে উঠেছে তেমনটি আগে ঘটেনি। এমনকি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর রাজনীতিকেও যেন তা ছাড়িয়ে গেছে। অনেকে যারা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন তাদেরও সুর পাল্টাতে শুরু করেছে। তারাই এখন বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এর চেয়ে ঢের ভালো। এমনই কর্দমাক্ত এখন মার্কিন নির্বাচনী পরিবেশ।

২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাভার করতে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম। এক ধরনের উচ্ছ্বাস উন্মাদনা কাজ করেছে তখন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এবারের নির্বাচনকে ঘিরেও আগ্রহের কমতি নেই। সারাবিশ্বের দৃষ্টিই এখন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের কারণে মার্কিন রাজনীতি ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের নানা দিক আরো সরাসরি ও ভালোভাবে দেখার সুযোগ হচ্ছে। তবে দুই নির্বাচনের মধ্যে তো বটেই, মার্কিন ইতিহাসেই এবারের নির্বাচন ব্যতিক্রম। এ এক অদ্ভুত নির্বাচন, মার্কিন রাজনীতিতে এ এক অচেনা পরিস্থিতি।

মার্কিন নির্বাচনে দেশ ও বিশ্বকে পরিচালনার যোগ্যতা, জ্ঞান, বাচনশৈলী, যুক্তির প্রখরতা, ব্যক্তিত্ব, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং নির্বাচনী মাঠে কে কত বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন এসব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হতে হয় একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে। শুরুর দিকে দেখা গেছে, ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টিতে মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ দলের মধ্যে নিজেকে যোগ্যতর হিসেবে জাহির করতে সচেষ্ট থেকেছেন। তখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু দিন দিন নির্বাচনের রাজনীতির সেই মাঠ কলুষিত হয়েছে।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে এক ব্যতিক্রমী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। সচরাচর এমন রাজনীতিবিদ চোখে পড়ে না। যদিও ট্রাম্প একজন সফল ব্যবসায়ী, ধনকুবের হিসেবেই মার্কিনীদের কাছে পরিচিত। শুরুতে তাকে স্পষ্টবাদী হিসেবেই মনে করেছেন মার্কিনীরা। যিনি কি-না তাবত্ বিশ্বের কথা না ভেবে শুধু মার্কিনীদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। আর তা দিতে গিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সৌজন্যতা, কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন তিনি। তবুও মার্কিনীরা নিজেদের স্বার্থের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছে। ট্রাম্পকে তারা জানিয়েছেন অকুণ্ঠ সমর্থন। দলের মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় তাই ট্রাম্প ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ব্যবস্থা বন্ধ করবেন। প্রাচীর তুলবেন মেক্সিকো সীমান্তে। মুসলমানদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। এসব বক্তব্য দিয়ে শুরুতেই বিতর্কিত হলেও ট্রাম্পের পক্ষে উল্লেখযোগ্য মার্কিনীদের সমর্থন অনেককে ভাবিয়ে তুলেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে আইএসের একের পর এক হামলা ও হুমকির মুখে পরিবর্তিত এক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে মার্কিন সমাজে অনেকেই সঠিক বলে মনে করেছেন। তাদেরই একটা বড় অংশের সমর্থনে ট্রাম্প নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হন। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রতি অনেক মার্কিনীর পুরোপুরি আস্থা না রাখতে পারাও বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও সুবিধাজনক অবস্থান এনে দিয়েছে ট্রাম্পকে। মার্কিন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষিতদের তুলনায় কম শিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিতরা হিলারির চেয়ে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন বেশি। প্রসঙ্গত, বলে রাখতে চাই-সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও কেউ কেউ বলে থাকেন বিশ্বের ক্ষমতাধর ও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটিতে গ্রাজুয়েট শিক্ষিতের হার বাংলাদেশের চেয়ে কম।

ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয় দু-দলের জাতীয় কনভেনশনের সময় থেকে। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর সেই আক্রমণ আরো শাণিত করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী। ট্রাম্প বলেছেন, হিলারি একজন মিথ্যাবাদী এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য শারীরিকভাবে অক্ষম। ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের চরিত্র নিয়ে। বিল ক্লিনটনকে চরিত্রহীন আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ইট ছুঁড়লে পাটকেল খেতে হয়। এরপর নির্বাচনী প্রচারণায় নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগের তীর ছোঁড়া শুরু হয় ট্রাম্পের দিকে। হিলারির শিবির থেকে ট্রাম্পের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হতে থাকে একের পর এক। ট্রাম্প সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নারীদের কিভাবে ব্যবহার করতেন, তাদের সাজসজ্জা রুমে ঢুকে যেতেন, নগ্ন ও অর্ধনগ্ন সুন্দরীদের আলিঙ্গন করতেন তার বর্ণনা খোদ সুন্দরীরাই

দিয়েছেন। এমন এক অবস্থায় আগুনে যেন ঘি ঢেলে দিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি প্রকাশ করেছে ট্রাম্পের ‘সেক্স টেপ’। অস্বীকার করতে পারছেন না ট্রাম্পও। অভিযোগকে খণ্ডন করতে চেয়েছেন ‘লকার রুম’-এর কথোকথনের যুক্তি দিয়ে।

গণমাধ্যমগুলো প্রকাশ করতে থাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুরোনো সব রেকর্ড। যাতে তিনি নিজের মেয়েকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প নিজের মেয়ের দৈহিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে তার সাথে ডেটিং করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

এসব নোংরামিকে উস্কে দিয়েছে গণমাধ্যম। কিছুদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নগ্ন মূর্তি নিয়ে শো ডাউন করেছে হিলারি সমর্থকরা। যারা দেখেছেন তারা বলতে পারবেন কী কুিসত ছিল সেই প্রচারণা। সম্প্রতি নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে ট্রাম্পের একটি রোবট স্থাপন করা হয়, আর এই রোবটকে দর্শনার্থীরা প্রশ্ন করলে তার সব ব্যাঙ্গাত্মক উত্তর মেলে। যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠের সাথে হুবহু মিল। সিএনএন কয়েকঘণ্টা ধরে লাইভ কাভারেজ করতে থাকে সেই ঘটনা। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী সমাবেশ থেকে কেউ যদি শেখ হাসিনা অথবা খালেদা জিয়ার কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনা লাইভ প্রচার করে তাতে ওই গণমাধ্যমের কী অবস্থা হবে পাঠক মাত্রই ধারণা করতে পারেন।

এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় টিভি ডিবেটে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ব্যক্তিগত কাজে রাষ্ট্রীয় ই-মেইল ব্যবহারের অভিযোগে হিলারিকে জেলে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে ঘোষণা দেন। বিতর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘুরে ফিরে আসে ট্রাম্প ও বিল ক্লিনটনের নারী কেলেঙ্কারি, হিলারির অসততার অভিযোগ। বিতর্কের পর সিএনএন এটিকে ‘নেস্টি ডিবেট’ হিসেবে উল্লেখ করে।

এই লেখাটি যখন লিখছি তার ঘণ্টা দুয়েক আগে লাস ভেগাসের নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সর্বশেষ টিভি বিতর্ক। এতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেকটাই সংযত ছিলেন। স্বভাবসুলভ ধীরস্থির ছিলেন হিলারিও। কিন্তু সেখানেও হিলারি-ট্রাম্প কেউ কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বির্তকের এক পর্যায়ে ট্রাম্প হিলারিকে ‘চোর’ সাব্যস্ত করেছেন। হিলারিকে ‘নেস্টি ওম্যান’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বেজায় ক্ষেপেছেন হিলারি। তিনিও ধনীর দুলাল আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প তার ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই সুন্দরী নারীতে মজেছিলেন।

ব্যক্তিগত আক্রমণ ছাড়াও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ যেন মার্কিন রাজনীতিতে বিরল ঘটনা। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পর ফলাফল অনুকূলে না গেলে পরাজিত পক্ষকে নির্বাচনে সুক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ আনতে শোনা যায়। কিন্তু ট্রাম্প যে আরো এগিয়ে। তিনি নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগেই কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। শেষ টিভি বিতর্কে সঞ্চালক যখন তাকে প্রশ্ন করেন—নির্বাচনের ফলাফল তিনি মেনে নেবেন কি-না তখন ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারি জয়ী হলে তা মেনে নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত।’ বিতর্ক শেষে তাই বুধবার রাতটিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের হিলসবরো শহরে রিপাবলিকান পার্টির একটি অফিসে ‘আগুন বোমা’ হামলারও ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে ওই হামলায় রিপাবলিকান পার্টির অফিসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কেউ আহত হয়নি। গত রবিবার রাতে নর্থ ক্যারোলিনার অরেঞ্জ কাউন্টি রিপাবলিকান পার্টি হেডকোয়ার্টারের জানালা দিয়ে কে বা কারা দাহ্য তরল পদার্থ ভর্তি একটি বোমা ছুঁড়ে মারে। এতে বেশকিছু কাগজপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে যায়। রিপাবলিকানরা একে ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে বর্ণনা করেছেন। দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনায় ডেমোক্রেটিক সমর্থকদের দায়ী করেছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘হিলারি ক্লিনটন ও ডেমদের প্রতিনিধিত্বকারী জানোয়াররা নর্থ ক্যারোলিনার অরেঞ্জ কাউন্টিতে আমাদের অফিসে আগুনে বোমা মেরেছে, কারণ আমরা জিতছি।’

যদিও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে এর নিন্দা করেছেন। এ ঘটনার পর অন্যান্য রিপাবলিকান কার্যালয়কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

নিজ দলে ট্রাম্পের একচ্ছত্র আধিপত্য খর্ব হচ্ছে ধীরে ধীরে। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, বিতর্কিত নানা বক্তব্যে ট্রাম্পের বিরোধিতা করছেন রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই। ট্রাম্পের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না খোদ তার রানিংমেট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মাইক পেনস। এসব ঘটনায় মার্কিন নাগরিক সমাজও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ট্রাম্প ক্রমাগত কারচুপির অভিযোগ তুললে ভোটাররা আগ্রহ হারাতে পারেন। আবার ট্রাম্প হেরে গেলে তার সমর্থকরা ফলাফলের বৈধতা মানতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া শুধু নয়, কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ বা সিনেটের নিয়ন্ত্রণও হারাতে পারে রিপাবলিকান পার্টি। নির্ভরযোগ্য নির্বাচনী বিশ্লেষক নেট সিলিভার বিভিন্ন জনমত জরিপের ভিত্তিতে যে মডেল তৈরি করেছে তাতে ডেমোক্র্যাটদের সিনেটে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ৭৩ শতাংশ। আর ট্রাম্পের বক্তব্যের কারণে শুধু সিনেট নয়, ডেমোক্র্যাটরা এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদেও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

আগের দুটি বিতর্কের মতোই লাস ভেগাসে তৃতীয় ও সর্বশেষ টিভি বিতর্কেও জয়ী হয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। জরিপ দেখাচ্ছে, হিলারি পেয়েছেন ৫২ শতাংশ এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৯ শতাংশ সমর্থন। মার্কিন নির্বাচনে জরিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। জরিপকে যদি মূল্যায়ন করতে হয় তাহলে হিলারি হতে যাচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর সেই ফলাফল ট্রাম্প মেনে না নিলে নির্বাচনটি যে কলঙ্কিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, নির্বাচনে যে অনিশ্চিয়তা থাকে সেই বিষয়টি বিবেচনায় এনে ট্রাম্প যদি জয়ী হন তাহলে মার্কিন রাজনীতিই নয়, অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব রাজনীতিতেও আমূল পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা প্রবল। যে পরিবর্তন শান্তির পৃথিবী গড়ায় কোনোভাবেই সহায়ক হবে না বলেই মনে হচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন