ছাত্রলীগ মুজিব আদর্শের সাহসী সৈনিক

  09-08-2016 10:17PM


গোলাম রসুল বিপ্লব: শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী এক ছাত্র সংগঠন। সময়ের সাহসী, মেধাবী, দেশপ্রেমী, মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী, নিয়মিত ছাত্রদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যর এক অনন্য সমন্বয়ের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই বঙ্গ জনপদের যে কোন দুর্দিনে এই সংগঠনটির নেতা কর্মীরা যেমন সর্বস্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তেমনি দুষ্কৃতকারী, শোষক, দাঙ্গাবাজ দেশদ্রোহী শয়তানদের প্রতিহত করতে কঠিন মনোবল আর ইস্পাত কঠিন হস্তে প্রতিহত করে ছাত্রলীগ।

বৃটিশ উপনিবেশ থেকে ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাজনের পর বাঙ্গালীরা নতুন ভাবে শোষণের যাতাকলে পড়ে। যাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন ‘এক শকুনির হাত থেকে অন্য শকুনির হাত বদল মাত্র’ নতুন সংগঠিত এই রাষ্ট্রে পাকিস্তান সরকার শুরু থেকেই তার প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। প্রথমে হানা দেয় আমাদের মাতৃভাষার উপর। উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) এর মাতৃভাষা হিসাবে। শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠের অনন্য প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখনই অনুভব করলেন শোষনকারীদের জবার দেওয়ার জন্য তাদের কালো দাঁত ভাঙ্গার একমাত্র হাতিয়ার হবে এই ছাত্র সমাজ। সেই ভাবনা থেকেই পাকিস্থান সরকার কতৃক চাপিয়ে দেওয়া উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ তৈরির জন্য ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে পরিশ্রমী, মেধাবী, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতা সম্পম্ন ছাত্র নেতা বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (তৎকালীনপাকিস্থান ছাত্রলীগ)।

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। অর্জন সুনামেও বিশ্বের শীর্ষ ছাত্র সংগঠন এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

জেলা ছাত্রলীগের ইউনিটগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ আজ একটি সুসংগঠিত ইউনিট। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বহু ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে তিলে তিলে তৈরি হয় এখনকার এক একটি মুজিব সেনা। অন্য জেলা ইউনিট গুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ ইউনিটের পার্থক্য যে কতটুকু তা আমার লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময়ে। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারি একটি সাংববিধানিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে তখন আলবদর রাজাকারের দল মরিয়া হয়ে মানুষ হত্যায় নামে যার শুরুটা হয়েছিল এই সাতক্ষীরা জেলাতে। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সেই মানুষ হত্যাকারী জানোয়ারদের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন বাজি রেখে যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, শক্ত হাতে ঐ মানুষখেকোদের প্রতিহত করেছিল তা অন্য জেলা ইউনিটগুলো থেকে সত্যিই আলাদা । শুধু এটা নয় সর্বক্ষেত্রে এই জেলা ইউনিটের সাফল্য আজ সকালেন কাছে প্রসংশনীয়।

রাজাকার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দালাল, চাঁদাবাজ, সুবিধাবাদী চাটুকারদের সমূলে ধংস করে, একটি উন্নত সমৃদ্ধ, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, উন্নত চিন্তার এবং প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী জন- মানুষের আবাসস্থল হিসেবে সাতক্ষীরা জেলাকে উন্নীত করে,বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ তথা ভিশন-২০২১ এবং উন্নত বাংলাদেশ রূপকল্প -২০৪১ বাস্তবায়নে এই জেলার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তরুণ সমাজ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । ছাত্রলীগের একজন পরিশ্রমী শুভাকাঙ্খী আমি বিশ্বাস করি, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান নেতা কর্মীদের হাতেই রচিত হবে ভবিষ্যৎ সাতক্ষীরার ইতিহাস। যে ইতিহাসের অন্তরাাত্মা হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর বহিঃপ্রকাশ হবে দেশরত্ম শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা। অন্তরে বঙ্গবন্ধু আদর্শের যে আলোকবর্তিকা তা আজ সূর্যের আলোর মতো স্ফুলিঙ্গ হয়ে হাজার হাজার আদর্শবান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার প্রত্যেক প্রন্তরে। আর সে আলোয় জলে-পুড়ে ঝলসে ধ্বংস হতে বসেছে এই জনপদের আজন্ম শত্রু, বাংলার কলঙ্ক, সাতক্ষীরার অভিশাপ, ৭১-এর পরাজিত শক্তি ওই জামাত- বিএনপির দোসররা। এক ঝাক আদর্শবান মেধাবী তরুন ছাত্রলীগ আজ সাতক্ষীরা জেলার জামাত-শিবিরের আতঙ্ক, তাদের স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ। আর তাই তারা আজ উঠে পড়ে লেগেছে কিভাবে নানান অজুহাতে, মিথ্যা নাটক সাজিয়ে, ঢং সেজে, কটুক্তি করে এই উদীয়মান মুজিব আদর্শের মেধাবী তরুণদের গতিরোধ করে, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে দুর্বল করা যায়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং সাতক্ষীরা জেলার একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমি ওই রং মাখা, চক্রান্তকারী, ভন্ড, স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানের এজেন্ট, জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হুশিয়ারী করে বলতে চাই, কেউটি সাপের লেজ নিয়ে খেলার দুঃসাহস দেখাতে পারো কিন্তু ভুল করেও কখনো মুজিব আদর্শের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের নিয়ে খেলতে আসবে না। মনে রাখবেন শোষণ নির্যাতন আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন এই সংগঠন। পরাধীন দেশে এই সংগঠনের যে সাহসিকতা তা কারোর বুঝিয়ে দিতে হয়না। আর স্বাধীন দেশে তাতো কল্পনাই করা যায় না। শুধু এটুকু জানান দিতে চায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা সজাগ ছিল এবং থাকবে। এই মুজি সেনাদের বিস্ফোরনে ধ্বংস হবে তোমাদের মত ষড়যন্ত্রকারীদের অস্তিত¦। সুতরাং, সাবধান!!!, খেলতে এসো না এই মুিজব সেনাদের সাথে।


লেখক- সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ


পিএনএস/ বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন