কাহারোলে ভাল ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় ভূট্টা চাষ

  19-01-2017 01:52PM



পিএনএস, কাহারোল (দিনাজপুর): দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় এবার বোরো আবাদের কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। অনেক কৃষক মনে করছেন বোরো ধান চাষে খরচ বেশি হওয়ায় এ মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা ভূট্টা চাষাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কাহারোল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৮ হাজার ২২৩ হেক্টর চাষযোগ্য আবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে এবার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও ১০ হাজার ৫০৬ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর অত্র উপজেলায় ৬ হাজার ৪ শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও ৮ হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছিল।

উপজেলার নয়াবাদ গ্রামের কৃষক কামিনী কুমার রায় বলেন, এবছর নিজের পরিবারের খাওয়ার জন্য ২ একর জমিতে বোরো চাষের জন্য ২৫ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন আর ৩ একর জমিতে ভূট্টা লাগানো হয়েছে। ভূট্টাতে সেচ খরচ কম ও দামও ভাল। তাই তিনি ভূট্টা চাষাবাদ করছেন। এদিকে সরেজমিনে উপজেলার তাড়গাঁও, বাইশপুর, সুন্দরপুকুর, চামদুয়ারী, বলেয়া ও উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকেরা ভূট্টা বীজ রোপন করছেন এবং সেই বীজ দিন দিন বেড়ে উঠে গাছে পরিণত হয়েছে। অনেকে ভূট্টা চাষাবাদ করলেও কিছু কিছু জমি ফাঁকা রেখেছেন। উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের কৃষক মো. রইসুদ্দিন জানান, গতবছর বোরো আবাদ করে খরচ উঠাতে পারেনি কারণ হিসাবে জানান বোরো ধান কাটা-মারাইয়ের প্রথম দিকে ধানের দাম কম থাকায়।

তাই তিনি এবার অর্ধেক জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শামীম বলেন, এ এলাকার মাটি বেলে, দোঁআশ প্রকৃতি হওয়ায় বোরো ধান চাষে পানি বেশি লাগে। একদিনের বেশি পানি থাকে না। যার কারণে খরচ বেশি লাগে। এজন্য কৃষকদের মাঝে আউশ চাষে প্রচারণা সহ কৃষকদের অন্য ফসল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাই কৃষকদের বোরো চাষে আগ্রহ কমে গেছে। এছাড়া ভূট্টা চাষে সেচ খরচ কম, উৎপাদনও বেশি, দামও ভাল। তাছাড়া বিভিন্ন কারণে কৃষকেরা ভূট্টা চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকে পড়েছেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন