পিএনএস, তানোর (রাজশাহী): রাজশাহীর তানোরে প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে মসুর ডাল ক্ষেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে করে কৃষকরা পড়েছে মহাবিপাকে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌর এলাকা জুড়ে সর্বত্রই পচন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ক্ষেতের মসুর ডাল। কোনো কোনো মাঠে এই পচনের হার অনেক বেশি।
অপরদিকে পচন রোগ মোকাবিলা করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছেন। তানোর উপজেলা কৃষি নির্ভরশীল এলাকা। রবিশষ্যের মধ্যে অন্যতম ফসল হচ্ছে মসুর ডাল। তাই কৃষকরা এবার বেশি বেশি মসুর ডাল চাষ করেছেন। কৃষকদের কাছে তাই এটি লাভজনক ফসল।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় সাড়ে ১৩শ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছিল কৃষকরা। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিকুল অবহাওয়ার কারণে মসুর ডাল ক্ষেতে পচন রোগে আক্রন্ত হয়ে সেই স্বপ্ন দু:স্বপ্নে রূপ নিয়েছে। কিছু নাম সর্বস্ব কম্পানীর নিম্নমানের কীটনাশকে বাজার ছেঁয়ে গেছে। এসব কীটনাশক ব্যাবহার করে কৃষকরা কোন ফল পাচ্ছে না।
উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কচুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে মসুর ডালের চাষ করেছেন। ক্ষেতে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষি অফিসের পরার্মশে 'অ্যামিষ্টার টপ' সহ তিন প্রকারের কীটনাশক ব্যাবহার করে পচন রোগ দমনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তালন্দ উপর পাড়া গ্রামের কৃষক আবুল সোনার বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে মসুর ডাল চাষ করেছি। মসুরের জমিতে প্রতিনিয়ত যত্ন নেওয়ার পরেও পচন রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যাবহার করেও পচন দূর করা যাচ্ছে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ‘পচন প্রতিরোধের জন্য কৃষকদের সচেতন করতে আমরা পুরো উপজেলায় মাইকিং, লিফলেট বিতারণ করেছি। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় উঠান বৈঠক করে কৃষকদের কীটনাশক ব্যাবহারের পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে।’
পিএনএস/আনোয়ার
তানোরে মসুর ডাল ক্ষেত্রে পচন, বিপাকে কৃষক
23-01-2017 11:56AM