সাঁথিয়ায় ৩ দিনে ৩ খুন

  26-03-2017 03:59PM


পিএনএস, পাবনা: পাবনা জেলার সবচেয়ে বেশি অপরাধ প্রবণ উপজেলায় সাঁথিয়ায় গত ৩ দিনে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতিতে মানুষ নিরাপত্তহীনতায় ভূগছে। থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাঁথিয়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে গত ২২ মার্চ গভীর রাতে আতাউর রহমান নামের এক দিন মজুরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শাহজাদপর উপজেলার সোনামার গ্রামের মৃত- গোলাই মোল্লার ছেলে আতাউর রহমার ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সাইদুল ইসলামের বাড়ীতে দিনমজুরের কাজ করে আসছিল।

জানা যায়, পল্লী চিকিৎসক সাইদুল ইসলামের সাথে পাশের বাড়ীর আব্দুল খালেকের বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধরে বুধবার গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সাইদুল ইসলামের বাড়ীতে হামলা চালায়। তাকে বাড়ীতে না পেয়ে দিনমজুর আতাউরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই সাথে বাড়ীর একটি চারচালা ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

পরের দিন বৃহস্পতিবার সাঁথিয়ার কল্যাণপুরে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩ জন আহত হয়েছে। এসময় বাড়ীঘরে হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কল্যাণপুর গ্রামের ময়নাল গ্রুপ ও সন্তোষ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ধনেগাছি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ময়নাল গ্রুপ ও সন্তোষ গ্রুপের লোকজনে মধ্যে কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় সন্তোষ গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ময়লাল (৫৫) ফারুক (৩০), মকবুলকে (৪২) কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহতদেরকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ময়নাল পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে ময়নাল মারা যায়। মৃত্যুর খবর শোনার পর পরই ময়নাল গ্রুপের লোকজন সন্তোষ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। থানা পুলিশ লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে ১২টি গরু ১টি ট্রাকটর উদ্ধার করেছে।

গত শনিবার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের বনিয়াবহু গ্রামে দূবৃর্ত্তরা জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নুদ্দিন সরদার নামের এক ব্যবসায়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওই দিন দুপুরে বাড়ির পাশে ব্যাঙগাড়ি নামের একটি বিল থেকে তার মৃতদেহ থানা পুলিশ উদ্ধার করে। জয়নুল আবেদীন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রায় ১০-১২ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি তার এক ভাই মারা যাওয়ার পর তিনি তার নামাজে জানাজা ও ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে বাড়ি আসেন। দুপুর ১২টার দিকে গ্রামবাসী ওই বিলের পুকুর পারে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এসময় তার গলায় পাজামা ও গামছা পেঁচানো ছিলো।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন