নাসিরনগরে আওয়ামীলীগ সভাপতির বাড়িঘর ভাংচুর

  29-03-2017 10:24PM

পিএনএস, ব্রাহ্মব্রাণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউণিয়নের ধরমন্ডল গ্রামে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি ও তার স্বজনদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নাসিরনগর থানার এক এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা মিয়াজ উদ্দিন ও সিদ্দিক আলীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে মহিলাসহ প্রায় ৪০ জন আহত হয়। এ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই গ্রামে পুলিশর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সরজমিনে ধরমন্ডল গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, ধরমন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন ও তার স্বজনদের বাড়িঘর কুপিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়,আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামেরই দু’টি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এনিয়ে দু‘পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার(২০ মার্চ) প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধরমন্ডল আওয়ামীলীগ সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন ও তার স্বজনদের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে। বেশ কিছু ঘর কুপিয়ে আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে। তাদের হামলায় নারীসহ গুরুত্বর আহত কয়েকজন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালসহ হবিগঞ্জ ও সিলেট ওসমানী নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আশরাফুলকে শনিবার প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।


ধরমন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন জানান,প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতা শের আলী ও সিদ্দিক আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজনের বাড়িঘরে কুপিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং লুটপাট চালালেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। পরে ওপরের নির্দেশে ঘটনার ৪ দিন পর শুক্রবার পুলিশ মামলা নেয়।ধরমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বাহার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,পূর্ব শক্রতার জের ধরে দু’টি পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল।

তবে হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপির লোক।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু জাফর জানান,বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বাদি হয়ে ৯৫ জন গংকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মামলার ভয়ে আসামীরা পালিয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন