সুন্দরবনে নাংলী এলাকায় আগুন: তদন্ত কমিটি গঠন

  26-05-2017 09:33PM

পিএনএস, মাত্র এক বছরের মাথায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ির জিং নাংলি এলাকায় ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়। আগুনে এপর্যন্ত প্রায় ৫ একর বনভূমির ছোট গাছপালা, লতাগুল্ম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এরপর বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিটকে আগুন নেভানোর কাজে ডাকা হয়। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

আগুন কীভাবে লেগেছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও জেলে ও মৌয়ালদের বিড়ি সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে বন কর্তৃপক্ষ। ফায়ার সার্ভিসের মোরেলগঞ্জ ইউনিটের টিম লিডার গোলাম মোস্তাফা জানান, বন কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা আগুন নেভানোর কাজ করছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে ভোলা নদী তিন কিলোমিটার দূরে হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

চাদপাই রেঞ্জের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিট কাজ করছে। বিকাল ৫টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে।’

ওসি মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রথমে আগুনের খবর জানতে পারি। এরপর আগুন নেভানোর জন্য তোড়জোড় শুরু হয়।’ হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকতা (ডিএফও) সাইদুল ইসলামের বরাত দিয়ে আমাদের বাগেরহাট প্রতিনিধি এস এম শামছুর রহমান জানিয়েছেন, আগুনের ঘটনা তদন্তে এসিএফ মেহেদীজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি: এদিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. মেহেদিজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।

তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক চারবার আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২৭ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্পের সিকদারের ছিলায়, ১৩ এপ্রিল পঁচা কোরালিয়া বিলে, ১৮ এপ্রিল আবদুল্লাহর ছিলায় এবং সর্বশেষ ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে এক শ্রেণির মৌসুমী মৎস্য শিকারী সুন্দরবনের মিঠা পানির মাছের বিল তৈরি করার জন্য বনে আগুন দিয়ে থাকে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন