তেঁতুলিয়ায় ছাত্রী ধর্ষণ; আত্মসমর্পণ ২

  17-10-2017 07:17AM

পিএনএস ডেস্ক: পঞ্চগরের তেতুলিয়ায় স্কুলছাত্রী সোনিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যার মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।

সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তেঁতুলিয়া আমলি আদালত-৪ এ উপস্থিত হন আসামি রাজন ও আতিক। তারা জামিনের আবেদন করেন। তবে, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম জামিন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে রাজন ও আতিককে জেলহাজতে পাঠানোর খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ তেঁতুলিয়ার প্রত্যেক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গত ১০ অক্টোবর কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পাথর শ্রমিকের কন্যা সোনিয়া আত্মহত্যা করে।

পরিবারের অভিযোগ, তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ড বয় মনসুর আলম রাজন ও তেঁতুলিয়া বাজারের বিকাশ এজেন্ট আতিকুজ্জামান আতিক নামের দুই যুবক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাকে তিন মাস ধরে নানাভাবে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখালে কোচিংয়ে না গিয়ে অর্ধেক রাস্তা থেকে বাসায় ফিরে এসে ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ধর্র্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলা মডেল থানায় পরপর চারদিন ঘুরলেও থানা মামলা না নিলে ফুঁসে ওঠে উপজেলার নানা পেশাজীবী মানুষ। পরে গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমে সোনিয়া আত্মহত্যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ১৪ অক্টোবর দুপুরে মামলা নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (ক) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলার দ্বিতীয় দিনে দুই ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সমবেত মানববন্ধনে সোচ্চার কন্ঠে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলে উপজেলার বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন