পিএনএস, মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুটি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক মিছিল শেষে তারা এ হামলা চালায়।
কার্যালয় দুটির মধ্যে একটিতে উপজেলা বিএনপি কার্যালয় যেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনসহ তার অনুসারীরা এবং অপরটিতে জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অনুসারীরা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের গাংনী বাজারস্থ কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গাংনী বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের কার্যালয়ে হামলা চালায় আসবাবপত্র গুলো বাইরে ছুড়ে ফেলে তাতে পেট্রল ঢেলে আগুল জ্বালিয়ে দেয়। পরে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচি বানচাল করতেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও আসবাব পত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, সরকার রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে হামলা মামলার পথ বেঁছে নিয়েছে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে তারই অংশ হিসেবে অংশ হিসেবে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, বিএনপির কার্যালয়ে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে বা অগ্নি সংযোগ করেছে তিনি জানেননা। তবে শুনেছি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
পিএনএস/আলআমীন
গাংনীতে বিএনপির দুটি কার্যালয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অগ্নিসংযোগ
16-12-2017 01:56AM