ঈদেও থামছে না জেলেদের কান্না

  24-05-2020 03:20PM


পিএনএস ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পবিত্র ঈদেও থামছে না জেলেপল্লীর কান্না। ভরা মৌসুমে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝেও মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত ছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিন-রাত বাজারে ছিল মানুষের আনাগোনা।

কিন্তু মেঘনা উপকূলের দরিদ্র মানুষগুলো পারেনি কেনাকাটা করতে। তবে তাদের একটাই চিন্তা নদীতে মাছ ধরবে আর বিক্রি করে খাবারের চাল কিনবে। কারণ তাদের কাছে ঈদের চেয়ে পেট পুরে খাওয়ার যোগানটায় বড় আনন্দের। কিন্তু নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ায় ঈদেও ওদের আকাশটা ঘোলাটে থাকবে।

মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদী এলাকায় সকল প্রজাতির মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। সরকারি নির্দেশ মেনে প্রায় ৯৫ শতাংশ জেলেই নামেনি নদীতে। বাকি জেলেরা গোপনে নদীতে নেমে মাছ শিকার করেছে। এদেরমধ্যে অনেকেই প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে গুণতে হয়েছে জেল ও জরিমানা।

নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ শিকার বন্ধ থাকায় সরকার থেকে এ উপজেলার ৭ হাজার জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ উপজেলায় সরকারি হিসেবে প্রায় ১৪ হাজার জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি সুবিধা পান অর্ধেকেরও কম জেলে। এতে সংসার খরচ, দাদনদার ও ধারদেনা পরিশোধ করার চিন্তা নিয়েই ঝুঁকি নিয়ে নদীতে গিয়ে জেল-জরিমানার শিকার হতে হয়। সঙ্গে লাখ লাখ টাকার জাল ও নৌকাও হারাতে হয় তাদের।

মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পর মে মাসের প্রথম দিন তারা নদীতে নেমেছিল। দুই মাস পর আনন্দ-উৎসব নিয়ে নদীতে গেলেও মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ। কোনরকম নৌকার তেল খরচ ও জেলেদের হাত খরচই জোটে। চাল কিনতেও তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পিএনএস/মো. শ্যামর ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন