পিএনএস ডেস্ক: বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা থেকে চার দেশকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশগুলো হলো আফ্রিকার চার দেশ উগান্ডা, গিবন, নাইজার ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক।
এসব দেশ হয় মানবধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে, না হয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগোতে ব্যর্থ হয়েছে।
আফ্রিকার দেশগুলোকে বাণিজ্য সুবিধা দিতে ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ‘আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট (এজিও) ২০০০’ কর্মসূচি চালু করে।
এর আওতায় যোগ্য সাব-সাহারা আফ্রিকার দেশগুলো ১৮০০-এর বেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বাইডেন বলেছেন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও উগান্ডায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার ‘গুরুতর লঙ্ঘনের’ অভিযোগে এসব দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে বাইডেন বলেন, নাইজার ও গ্যাবন রাজনীতিতে বহুমতের প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকারের কাছে লিখিত চিঠিতে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, গ্যাবন, নাইজার ও উগান্ডার মতো দেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ সত্ত্বেও দেশগুলো এজিওএর মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে উদ্বেগ জানালেও দেশগুলো তা আমলে নিতে পারেনি।
সে কারণে আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে এজিওএতে সাব-সাহারা আফ্রিকার এই দেশগুলোর অংশগ্রহণ বন্ধ করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে এই দেশগুলো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের শর্ত পূরণ করতে পারছে কি না, তা মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
২০০০ সাল থেকে এজিওএ কর্মসূচি চালু হয়েছে।
যেসব দেশ এর শর্তাবলি পূরণ করে, তারা এজিওএর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এটি শেষ হওয়ার কথা, যদিও তার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো এজিওএর মেয়াদ ১০ বছর বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে। এই কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে যাদের উদ্বেগ আছে, সে ধরনের ব্যবসায়ী ও নতুন বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে তারা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চাপাচাপি করছে।
সূত্র: রয়টার্স।
পিএনএস/এমএইউ
৪ দেশের বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র
01-11-2023 09:11AM