পিএনএস ডেস্ক: রমজান এলেই বাজারে সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রোজা শুরুর আগে থেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে নানা আলোচনা। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ইফতারে বরই, পেয়ারা রাখার কথা বলে আলোচনায় এসেছিলেন। খেজুরের বেশি দামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এই দেশি ফল ইফতারের প্লেটে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু বাজারে এসব ফলের দামও চড়া। একশ’ টাকার কমে বরই বা পেয়ারাও মিলছে না।
রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর কাজীপাড়া বাজার, শেওড়াপাড়া বাজার ও কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবথেকে জনপ্রিয় বলসুন্দরী জাতের বরই ১০০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই বরই ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে নারকেল বরই সবথেকে বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে। প্রতি কেজি নারকেল বরইয়ের দাম ১৬০ টাকা।
গত সপ্তাহেও এই বরই ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাশমেরী জাতের বরই ১২০ টাকা, আপেল কুল ৮০ টাকা, টক বরই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরইয়ের দাম এত বেশি কেন- জানতে চাইলে কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়ত থেকেই বেশি দামে বরই এসেছে।
এ ছাড়া এখন নারকেল বরই ও টক বরইয়ের শেষ সময়। বাজারে এসব সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি থাই জাতের পেয়ারা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি পেয়ারা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। দুই দিন আগেও এই থাই পেয়ারার দাম ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, দেশি পেয়ারা ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
বাজারে অন্যান্য দেশি ফলের মধ্যে প্রতি কেজি তরমুজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও আনারস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বেল ১০০ থেকে ২০০ টাকা পিস, কদবেল ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
পিএনএস/এমএইউ
ইফতারে বরই, পেয়ারা; তাও ১০০ টাকার কমে নেই
13-03-2024 01:01PM
