রেমালের প্রভাবে বেসামাল নিত্যপণ্যের বাজার

  29-05-2024 01:46PM


পিএনএস ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সোমবার দিনব্যাপী বিরতিহীনভাবে ঝরেছে অতি ভারী বৃষ্টি। যার ফলে এক প্রকার স্থবির ছিল রাজধানী ঢাকা। বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আর সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে অপ্রস্তুত হয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দাম জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, আজকে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। দোকানিরা বলছে- আজ রাজধানীতে কাঁচামালের সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণে বাড়তি দাম ধরা হয়েছে। আমরাও বুঝি গতকাল দিনব্যাপী বৃষ্টি ছিল। সে কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় সবজি কম আসবে, সে কারণে আজ দাম বেশি। তবে এই দাম যেন কালকে আবার না থাকে, দাম বাড়ানোর সুযোগ বুঝে যেন ব্যবসায়ীরা এসব সবজির দাম আগামীকালও বাড়তি না রাখে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। আজ দাম বেশি বলে অর্ধেক অর্ধেক করে সবজি কিনলাম, এক কেজির জায়গায় আধা কেজি করে কিনেছি।

একইভাবে রাজধানীর মগবাজারে বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, আজ সবজির মধ্যে কাঁকরোল কিনলাম প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। বাজারে এমন কোনো সবজি নেই যার দাম আজ বাড়তি না। সবজির দাম শুনলে আঁতকে উঠতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই, বাজারে মাল আসেনি সে কারণেই দাম বাড়তি। যেহেতু খেতে হবেই, সে কারণে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই অল্প অল্প করে কিছু সবজি কিনলাম। আসলে রাজধানীর ব্যবসায়ীরা ওৎ পেতে বসে থাকে, কি অজুহাতে তারা দাম বাড়াবে। কখনোই বাজার মনিটরিং মাঠ পর্যায়ে সেভাবে হয় না, ঠিকমতো বাজার মনিটরিং হলে দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি হতো না।

এদিকে পেঁয়াজের দাম ৪-৫ দিন আগে এক দফা বাড়লেও, বৃষ্টির কারণে এই পণ্যটির দামের পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে প্রতিকেজি পাবনার পেঁয়াজ ৭০-৭২ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৭০-৭২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, আরও তিন-চার দিন আগে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে কেন বেড়েছে সেটা জানি না। আজকে নতুন করে দাম বাড়েনি, কমেনি।

এদিকে আগের মতো ২৫০ টাকা দরে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে। মুরগি, গরু, খাসির বাজারেও নেই দামের কোনো পরিবর্তন। বর্তমানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২শ টাকা সোনালি ৩৩০-৩৪০ টাকা, সাদা কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসি ১১০০ টাকা ও ছাগল এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। চালের বাজারেও নেই কোনো পরিবর্তন।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন