পিএনএস ডেস্ক : আটা-ময়দা ও সুজি দিয়ে বানানো হতো অ্যান্টিবায়োটিক। নকল মোড়কে এসব ওষুধ বাজারে ছাড়া হতো। রাজধানীর অদূরে সাভার ও কুমিল্লায় রীতিমতো কারখানা গড়ে এসব ওষুধ বানানো হতো। মজুত রাখা হতো বরিশালে। এসব ওষুধ তৈরি এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিএমপি ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাহীন (৩৪), শহীদুল ইসলাম (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৩৬), হৃদয় (২০), হুমায়ুন (৩৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিবির প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স–৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ–২৫০, সিপ্রোটিম–৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস–১০ নকল করে বাজারে ছাড়ত। তারা বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ওষুধ নকল করত।
শহীদুল বরিশাল কোতোয়ালি থানা এলাকার নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করে আসছিলেন। আর শাহিন এসব নকল ওষুধ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিপণনের দায়িত্বে ছিলেন। হুমায়ুন রাজীব অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করতেন।
ডিবি প্রধান জানান, এ ছাড়া সিরাজুল ইসলাম ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রির যাবতীয় কাজে শহীদুলকে সহায়তা করতেন। কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে সেগুলো কুমিল্লার জনৈক আবু বক্কর বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শহীদুলের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করতেন।
চক্রটি দশ বছর ধরে এই ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণন করে আসছিল। গ্রেপ্তারদের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা জামিনে বেরিয়ে আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।
এখন পর্যন্ত তারা ওষুধ প্রশাসনকে ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে ডিবি।
পিএনএস/এএ
আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো ১০ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক!
02-04-2024 02:21AM