‘জালিয়াতির ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না’

  21-04-2022 09:07PM

পিএনএস ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, যারা ইচ্ছা করে ঋণ পরিশোধ করে না ব্যাংকগুলো তাদের সুদ মওকুফ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া ঋণ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার জন্য সুদ মওকুফের কোনো সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

কোন পরিস্থিতিতে গ্রাহকের ঋণের সুদ মওকুফ করা যেতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটাও সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ঋণগ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদী ভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণে বা প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলেই কেবল সম্পূর্ণ অংশ বা আংশিক সুদ মওকুফ করা যেতে পারে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, এসব বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন গ্রাহকের সুদ প্রায়ই মওকুফ করে দিচ্ছে। এতে সুদ মওকুফ সুবিধা পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে অনাগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে, যা ব্যাংক খাতে সার্বিক ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, মূল ঋণ (আসল) মওকুফ করা যাবে না। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না। ব্যাংকের আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করা যাবে না। ঋণের সুদ মওকুফ সুবিধা ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। তবে, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল ঋণের সুদ মওকুফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উপর অর্পণ করা যাবে। সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় আদায় নিশ্চিত করতে হবে।

তহবিল ব্যয় আদায়সংক্রান্ত শর্ত কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিল করা যেতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এমন প্রকল্প, ঋণের জামানত, সহজামানত, প্রকল্প সম্পত্তি ও প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ বিক্রি থেকেও তহবিল ব্যয় আদায় করা সম্ভবপর না হলে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরও পাওনা আদায় করা না গেলে এবং ঋণগ্রহীতার মৃত্যু অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন বা দুর্দশাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা যৌক্তিক কারণে ঋণ পরিশোধে অপারগ হলে।

পিএনএস/এমবিবি

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন