লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দিশেহারা ক্রেতারা

  08-09-2023 03:16PM

পিএনএস ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজির। ৬০ টাকায় মধ্যে এখন শুধু পেঁপে, পটল মিলছে। অন্যান্য সবজি কিনতে কেজিপ্রতি ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও নেই কোনো সুখবর নেই। দু-একটি পণ্যের দাম সামান্য কমলেও বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে তা বেশি।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহামম্দপুর, মিরপুর বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বাজারে দেখা যায়, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এছাড়া করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন কোনো জিনিস নেই, যার দাম বাড়েনি। এমন একটা চক্রে চলছে বাজারে, যেন দেখার কেউ নেই।

সোহরাব নামে এক ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। ভোক্তাদের জিম্মি করে তারা ব্যবসা করছেন। প্রকৃত কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে।

অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারতো মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশ চড়া। এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন